অন্যান্য সময় হাল ফ্যাশনের ছোঁয়া থাকলেও অঞ্জলি দেয়া বা মণ্ডপে ঘোরার সময় পাঞ্জাবি, ধুতির রাবীন্দ্রিক সাজ থাকা চাই। হালকা শীতের আবেশ ছড়ানো সন্ধ্যার সাজে সুতি বা সিল্কের পাঞ্জাবি বেশ মানাবে। অল্প কিছু এমব্রয়ডারি কাজ থেকে শুরু করে এসব পাঞ্জাবি সেজেছে জরি, পুতি, লেস, জার্দসীর কাজে। পাঞ্জাবির সঙ্গে গলায় শোভা পেতে পারে মানানসই লাল বা সোনালী দোপাট্টা। সাজগোজে প্রফুল্ল মন যদি সঙ্গে বিশেষ কোনো সঙ্গ পায় তবে দেবীময় সন্ধ্যা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়।
পূজার বাজারে ছেলেদের যুগোপযোগী ধুতি আর পাঞ্জাবি পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। পাঞ্জাবিতে রয়েছে কাপড়, কাট আর ডিজাইনের ভিন্নতা। সাদা বা অফ হোয়াইটের ধুতিতেও পাবেন নানা ঢং এর আবির্ভাব। নিজেকে একটু ট্রেন্ডি আর ফ্যাশন সচেতন ভাবতে কার না ভালো লাগে? তাই নিজের চেহারা আর রুচিকে প্রাধান্য দিতে বেছে নিতে পারেন পছন্দের পোশাকটি।
পূজার পুরো পাঁচদিন জুড়ে একই সাজ কার বা ভালো লাগে? একটু ভিন্নতা আনতে আজকাল শার্ট, টি-শার্টের কদর বাড়ছে। সন্ধ্যার পর মণ্ডপে ঘোরা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজিতে এধরনের পোশাক বেশ আরামদায়ক। টি-শার্টের ক্ষেত্রেও পূজা উপলক্ষে বেশ নতুনত্ব নিয়ে এসেছেন ফ্যাশন হাউজগুলো। এখান থেকে পছন্দের পোশাকটি বেছে নিতে পারবেন সহজেই। এছাড়াও গুলিস্তান, পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার, ইসলামপুর ও বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে পেয়ে যাবেন খদ্দরের থেকে শুরু করে সিল্কের ধুতি-পাঞ্জাবি। তাই এবারের পূজায় ছেলেদের পোশাক কেনার আগে অবশ্যই ভেবে নিন কোন ধরনের পোশাক আপনার সঙ্গে মানাবে। তারপর ঘটিয়ে ফেলুন সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়।-বাংলামেইল
(12)