শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকালের পর আলহাজ্ব লিয়াকত আলীর মরদেহ রোববার দুপুর ১২টার দিকে খুলনায় আনা হয়। প্রথমে নগরীর ইকবাল নগরস্থ দৈনিক পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ে লাশ আনার পর সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন সেখানো জড়ো হন। এদের মধ্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা, পঞ্চানন বিশ্বাস, জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, কেএমপি কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, শেখ আব্দুল কাইয়ুম, কাজী ওয়াহিদুজ্জামান, শেখ আব্দুল মান্নান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, নগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব তরিকুল ইসলাম তরিক, নগর জামায়াত নেতা এড. শাহ আলম ছাড়াও আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হন। লাশবাহী ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্সযোগে আনা আলহাজ্ব লিয়াকত আলীর মরদেহ দেখে পরিবারের সদস্যসহ মরহুমের দীর্ঘদিনের সাথীদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে। অনেককেই এসময় মূর্ছা যেতে দেখা যায়।
পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ের সামনে লাশ কিছু সময় রাখার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে রাখা হয়। সোমবার দিনের যে কোন সময় মরহুমের পুত্র সানি মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসার পর মরহুমের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
(8)