এমনকি বিষয়টি আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বপায়।
গত ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে প্রায় ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরবর্তী এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও এবারের নির্বাচনের প্রতীকের বিষয়টি ছাড় পাচ্ছে না আলোচনা-সমালোচনা থেকে।
সর্বশেষ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্ল্যাক বোর্ড প্রতীক নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে মিশ্র প্রতীক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতীকটির মান নয়, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশনের নমুনা ব্যালটে ব্ল্যাক বোর্ড প্রতীকে জলছাপা আকারে ইংরেজি অক্ষর এ,বি,সি লেখা রয়েছে। যার ফলে প্রার্থীরাও তাদের পোষ্টারের প্রতীকে একই পন্থা অনুসরণ করেন। যা নিয়ে সচেতন মানুষদের মধ্যে সাড়া ফেলে দয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাষা সৈনিক শহীদ এমএ গফুরের পুত্র আনোয়ার ইকবাল মন্টু বলেন, দেশের স্বাধীনতার পূর্ব সূত্র ছিল ৫২’র ভাষা আন্দোলন, অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মাতৃভাষা।
দেশের সকল কর্মকান্ডে বাংলা ভাষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত, অথচ নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা তাদের প্রতীকে ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্বদিয়ে বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হযরত আলী জানান, অনেকটাই তাড়াহুড়ো করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করায় সল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়েছে।
ব্ল্যাক বোর্ড প্রতীক বোঝানোর জন্য সেখানে কিছু জলছাপার অক্ষর ছাপানো হয়েছে। বিষয়টি গভীর ভাবে ভাবা হয়নি তবে অক্ষর গুলো বাংলা হলে ভাল হত বলে নির্বাচন কর্মকর্তা জানান।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(9)