আসাফুর রহমান কাজল
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় নির্বাচনী গুঞ্জন এবং আলোচনায় রূপ নিয়েছে। সম্ভব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ বেড়ে গেছে। মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে আলাপচারিতা এখন কেসিসি নির্বাচন নিয়ে। কারা হবেন কাউন্সিলর প্রার্থী? ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘কেসিসি নির্বাচনী হাওয়া’য় থাকছে এবিষয়ে বিস্তারিত। আজ থাকছে কেসিসি’র ১ নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ওয়ার্ডবাসীর কথা।
কেসিসি’র ১ নং ওয়ার্ডবাসী বলছে, ‘এই ওয়ার্ডে দুর্দশার শেষ নেই। সরকার সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিছে। কিন্তু আমাদের ওয়ার্ডে তার ছিটেফোটা নেই। আর যতুটুকু সুযোগ-সুবিধা আসে তাও আত্মীয়করণ হয়। গত নির্বাচনের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি পুরনে আশি ভাগই ব্যার্থ বর্তমান কাউন্সিল।’ যদিও বর্তমান কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, গত নির্বাচনের আগে ওয়ার্ডবাসীকে দেয়া আমার প্রতিশ্রুতি পুরনে আমি বদ্ধপরিকর। প্রায় সকল ওয়াদাই পুরন করেছি। করোনার কারণে কিছু কাজ করতে পারিনি এটি সত্যি। এছাড়া ড্রেণেজ, রাস্তা-ঘাট, বাড়ি বাড়ি ওয়াসার পানির সংযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেছি। গত ২৫ বছরের চেয়ে আমার আমলে বেশি কাজ হয়েছে। জনগনের পাশে থেকে আমি কাজ করছি।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাদাত মিনা জানান, আমি জনগণের মাঝে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এইযে ৪-৫টা বছর পার হলো। এসময় কি কাজ হয়েছে। তা জনগন জানে এবং দেখছে। ফলে আগামীতে ওয়ার্ডবাসী ব্যালটের মাধ্যমে আমাকেই জয়যুক্ত করবে।
সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. মনিরুজ্জামান খান খোকন জানান, আমি দীর্ঘদিন এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিলাম। খুব নাজুক অবস্থা থেকেই আমি এ ওয়ার্ডের উন্নয়ন শুরু করি। ওয়ার্ডের মুরব্বিদের ভালবাসা এবং দোয়া রয়েছে আমার প্রতি। ওয়ার্ডবাসী আবারও আমাকে চাচ্ছে। ফলে আমি মনে করি ওয়ার্ডবাসীর প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আবার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জামাত নেতা মো. আজিজুর রহমান স্বপন জানান, এই এলাকার দুর্দশার শেষ নেই। দরিদ্রদের উন্নয়নের সকল কার্ড, ভাতা আত্মীয়করণ হচ্ছে। স্বল্পপরিসরে কিছু কাজ হয়েছে। তবে এ ওয়ার্ডের উন্নয়ন করার অনেক সুযোগ ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আমি নিরোপেক্ষ ভোটের প্রত্যাশা করছি।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পরিচয় প্রকাশ করে কিছু বলতে পারবো না। তবে এই ওয়ার্ডে দুর্দশার শেষ নেই। সরকার সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিছে। কিন্তু আমাদের ওয়ার্ডে তার ছিটেফোটা নেই। আর যতুটুকু সুযোগ-সুবিধা আসে তাও আত্মীয়করণ হয়। গত নির্বাচনের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি পুরনে আশি ভাগই ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান কাউন্সিল।
ওই ওয়ার্ডের মানিকতলা এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সদালাপি, সবার সাথে মিশে চলে। সবসময় পাশে পাবো। যার সাথে নিজের সমস্যার কথা বলা যায়। এমন মানুষকে এবার আমরা ভোট দেব।
সৌজন্যে দৈনিক খুলনা
(40)