ধীরে ধীরে মাধ্যমিকের সব বই ডিজিটাল করার পরিকল্পনার কথা বলছে, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। কিছুটা পরিমার্জন করা হচ্ছে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিকের বই।
এই শিশুদের আর হারাতে হয় না সাদা কাগজের জমিনে হাজারো অক্ষরের ভিড়ে। অক্ষর বর্ণের কাগুজে বইয়ের বদলে কথা আর নানার রঙের ছবি দিয়ে লেখাপড়া শিখছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, ছাপার অক্ষরের চেয়ে কথা আর ছবির বর্ণনায় দ্রুত শেখে শিক্ষার্থীরা। তাই উন্নত বিশ্ব কাগুজে বই ছেড়ে ঝুঁকছে ডিজিটাল বইয়ের দিকে।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সে পথে হাঁটবে বাংলাদেশও। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দেশে প্রথম বারের মতো ডিজিটাল বই প্রণয়নের পরিক্ল্পনা করেছে সরকার। ক্রমান্বয়ে মাধ্যমিকের সব বই হবে এমন ধারায়। তবে মাধ্যমিকে পরিবর্তন হলেও অনেকটা অপরিবর্তিত থাকছে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিকের বই।
গতবারের ভুল-ত্রুটির পরিমার্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে এই ধাপের প্রায় ১১ কোটি বই। ডিজিটাল ও মুদ্রিত সব মিলিয়ে এবার ৩৪ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
(0)