রূপসা প্রতিনিধি : বুধবার দিনগত রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে রূপসা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বাদ যায়নি হাট-বাজারের দোকান-পাট। এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে উপজেলার পদ্মবিল জাবুসা বিল ও মৌভক বিলে কয়েকশ মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপণ করা যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য অফিস। অপরদিকে ৫০ হেক্টর জমির সবজি, ৩০ হেক্টর জমির ধান ক্ষেত ও ২০ হেক্টর জমির পান বরজ পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। পানির নিচে ধান ক্ষেত ও পান বরজ থাকায় খুব একটা ক্ষতির আশংকা না থাকলেও সবজি ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে বুধবার রাত ১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনাঞ্জলে বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার। মুষলধারে লাগাতার এই বৃষ্টিতে রূপসা উপজেলার গ্রামীন জনপদসহ পুকুর, ঘের ও ডোবা-নালা তলিয়ে একাকার হয়ে যায়। রাস্তাঘাট পানিতে থৈ থৈ করতে থাকে। কোনটি জলাশয় আর কোনটি রাস্তা চেনার উপায় ছিলো না। অনেক নিচু বাড়ি-ঘরও তলিয়ে গেছে। এমনকি ঘরের ভিতরে নোংরা পানি প্রবেশ করে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। স্মরণকালের এই মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার রূপসা বাজারের অনেক দোকানের ভিতর পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ক্লাশ হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার নিচু এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে ছিলো। তলিয়ে ছিলো বাড়ির আঙ্গিনা। বিশেষ করে উপজেলার রামনগর গ্রামের প্রধান সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় ওই এলাকার মানুষের চলাফেরা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মবিল জাবুসা বিল ও মৌভক বিলে কয়েকশ মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। কেউ কেউ নেটজাল ও পাটা দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তবে কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা সঠিকভাবে নিরুপন করা যায়নি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বাপি কুমার দাস বলেন, বৃষ্টিতে মাছের ঘেরের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আমাদেরকে এখনো কেউ জানায়নি।
(9)