সম্প্রতি লন্ডনে জীনগত পরিবর্তনের কারণে প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য প্রথম ঔষধ পরীক্ষায় সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট নিরাময়ের অযোগ্য এমন ৪৯ জন ক্যান্সার রোগীর উপর এই ঔষধের পরীক্ষা চালানো হয়।
এ পরীক্ষায় গবেষকদের উদ্ভাবিত ঔষধটি ৮৮ শতাংশ রোগীর টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে সক্ষম হয়েছে। ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে এই ফলাফল উৎসাহব্যঞ্জক। স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগীদের স্তনের সুনির্দিষ্ট জীনগত পরিবর্তনের উপরেই এই ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঔষধটি ক্যান্সারের জন্য দায়ী জীনগত পরিবর্তনের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। শরীরের কোন অংশে ক্যানসার তৈরি হচ্ছে সেটি মূল বিষয় নয়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ১৬ জন রোগীর মধ্যে ১৪ জনের ক্ষেত্রেই এই ঔষধটি ভালো ফলাফল দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছয়মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত এই ঔষধ সেবন করেছেন। গবেষকরা বলছেন পরীক্ষার সময় যাদের উপর এই ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছিল তারা ১০ -১২ মাস বেঁচে থাকার কথা ছিল। কিন্তু এই ঔষধ প্রয়োগের পরে অনেকেই এক বছরের বেশি সময় বেঁচে ছিলেন। পুরুষরা যে ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার পাঁচ নম্বরে। লন্ডনের ক্যান্সার ইন্সটিটিউট বলছে তাদের এই পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
তবে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্তদের দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে এই ঔষধ কতটা ভূমিকা রাখবে সেটি নির্ণয় করতে আরো পরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
(2)