একজন আবহাওয়াবিদ জানান, মৌসুমি বায়ু বিদায় নিলেও বিশেষজ্ঞ কমিটির পূর্বাভাস অনুযায়ী নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড় হলে তার প্রভাবে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বইবে। মাসের মধ্যভাগে এর একটি (নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়) হতে পারে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় আবহাওয়ার সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আরও বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ছিল। তবে রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কম। অর্থাৎ গড় বৃষ্টিপাত বেশি হলেও বৃষ্টিপাতের ধরন (প্যাটার্ন) ও বিভাজন স্বাভাবিক ছিল না।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় বলা হয়েছে, চলতি মাসে বৃষ্টি হবে স্বাভাবিকের তুলনায় কম। ফলে রোপা আমনে ফুল অবস্থায় পানির অভাব দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোপা আমনের খেতে সম্পূরক সেচ দিতে হতে পারে। না হলে ফসলের ক্ষতি হবে।
ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরে ও দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু দুর্বল হয়ে পড়ায় চলতি মাসে আকাশে মেঘের আনাগোনা কমবে। আকাশ পরিষ্কার হতে থাকায় সূর্যের কিরণকাল বাড়বে। বাড়বে বাষ্পীভবনও।
(1)