বছরের শেষ ম্যাচেও করেছেন দুই গোল

বছরের শেষ ম্যাচেও করেছেন দুই গোল। গোলের বিচারে যেমন পিছনে ফেলে দিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে, তেমনই তৃতীয়বার ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ব্যালন ডি’অর।

রোনালদোর হঠাৎ রাগের কারণ অনেকের কাছে রহস্য মনে হলেও ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০১৬ ফের মেসিকে বিশ্বসেরার সিংহাসনে বসাতে চলেছে।

নতুন বছরের প্রথম মাসেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর হাতে পঞ্চম বার ব্যালন ডি’অর উঠতে চলেছে ধরে নিয়ে হয়তো আগাম নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন রোনালদো।

এক স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা-কে সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছেন, ‘অনেক লোক আছে যারা আমায় পছন্দ করে না। কিন্তু সেটাও আমাকে তাতিয়ে দেয় আরো সাফল্য পেতে। আমি তৈরি হয়েছি বিশ্বসেরা হওয়ার জন্যই।’

ক্যারিয়ারের শুরুতে শৃঙ্খলা ভেঙে বহুবার শিরোনামে এসেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তবে এখন সেই রোনালদোর পরিবর্তে এসেছেন নতুন একজন। যিনি পরিবার ছাড়া বিশেষ কিছু চেনেন না।

ধ্যানমগ্ন শুধু ফুটবলেই এবং এই সব কিছুর কারণ ধরা হচ্ছে, সিআর সেভেনের সস্তান ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রকে। ‘আমার স্বচ্ছ মন। রাত্তিরে শান্তিতে ঘুমোই। অন্যদের সাহায্য করে খুব ভাল লাগে। কে কী ভাবছে সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে গেলে তো সারা জীবনটাই চলে যাবে। বাবা হওয়ার পর থেকেই আমি জীবনকে অন্য চোখে দেখি,’ বলেছেন রোনালদো।

ছোটখাটো সমালোচনাও আগে তার মন খারাপ করলেও দাবি করছেন, এখন কাঁটা বেছানো রাস্তা দিয়ে হাঁটতেও ভয় পান না। কারণ হিসেবে রোনালদো বলছেন, ‘আমি নিজের জামা নিজেই গুছিয়েছি ছোটবেলা থেকে। তখন থেকেই মানসিক শক্তি ছিল। এখন আমার মন এত শক্ত কারণ পরিবারকে ছেড়ে অনেক সময় কাটিয়েছি। অনেক কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে।’

রোনালদোর ২০১৬ শুরুই হতে চলেছে তার রিয়াল মাদ্রিদ ভবিষ্যৎ নিয়ে। জল্পনা চলছে, লস ব্ল্যাঙ্কোসের জার্সিতে এটাই হয়তো শেষ মরসুম সিআর সেভেনের। তবে সেই জল্পনা প্রসঙ্গে স্বয়ং তিনি সাফ বলে দিচ্ছেন, ‘বদল আমার ভাল লাগে না। সারা জীবনে ফুটবল থেকে যা পেয়েছি তার থেকে বেশি আর কী চাইব!’

অবসর নেয়ার পর কী পরিকল্পনা রোনালদোর? তারও জবাব দিয়েছেন ‘ফুটবল বুট তুলে রাখার পর রাজার মতো জীবন কাটাতে চাই। যা যা ভালবাসি তখন সব কিছুই করতে পারব।’

তবে বিতর্কিত রোনালদোর পিছন বছর শেষেও যেন ছাড়ছে না বিতর্ক। রোনালদোর সাম্প্রতিক মায়ামি সফর নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি আর একটা সন্তান চান।

‘সারোগেট’ পদ্ধতিতেই ফের বাবা হতে চান সিআর সেভেন। সেটাই নাকি ছিল তার মায়ামি-সফরের আসল উদ্দেশ্য।

এক সূত্রের খবর, ‘রোনালদো সব সময় বলে এসেছে আরো একটা সন্তান চায়। হয়তো সেই গুরুত্বপূর্ণ কারণেই বড়দিনে পরিবারের থেকে এত দূরে ছিল ও। গতবার এই সময় ওর সঙ্গে মা না থাকলেও অন্তত ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র ছিল। এবার তো পুরো ক্রিসমাস একাই কাটাল রোনালদো। খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো কারণ না থাকলে নিশ্চয়ই এমনটা করত না!’