বাংলাদেশের দিবসসমূহ
শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিজস্ব দিবসগুলোকে “বাংলাদেশের দিবস” বলা হচ্ছে। এই দিবসগুলো শ্রেফ বাংলাদেশেই পালিত হয়। অবশ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসি বাঙালিরাও এই দিবসগুলো সীমিতাকারে পালন করে থাকেন।
জানুয়ারি
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস* : ১০ জানুয়ারি
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বদেশে (বাংলাদেশের ভুখন্ডে) ফিরে আসেন, তারই উপলক্ষে এই দিবসটি পালিত হয়।[১]
- জাতীয় শিক্ষক দিবস : ১৯ জানুয়ারি
- শহীদ আসাদ দিবস : ২০ জানুয়ারি
- ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান নামের একজন ছাত্রনেতা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) শাসক আইয়ুবশাহীর পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি ১৯৬৯ সালের বাঙালির গণ-আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন, অন্য দু’জন হচ্ছেন- শহীদ রুস্তম ও শহীদ মতিউর।[২]
- গণঅভ্যুত্থান দিবস : ২৪ জানুয়ারি
- ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। সেই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়।[৩]
- কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস : ২৫ জানুয়ারি
- প্রবাসী প্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপলের ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারে এদিন প্রথম বাংলা লিখন চালু করেন।[৩]
- সলঙ্গা দিবস : ২৮ জানুয়ারি
ফেব্রুয়ারি
- সুন্দরবন দিবস : ১৪ ফেব্রুয়ারি
- ২০০১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনে দিবসটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[৪]
- শহীদ দিবস : ২১ ফেব্রুয়ারি
- জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস : ২৮ ফেব্রুয়ারি
- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ড. মো. ইব্রাহিমের উদ্যোগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এই দিনটিকে ডায়াবেটিস সচেতনতা তৈরিতে উপজীব্য করা হয়। এছাড়াও প্রতি বছরই ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়।[৫]
মার্চ
- জাতীয় পতাকা দিবস : ২ মার্চ
- শিশু দিবস* : ১৭ মার্চ
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তে জাতীয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম তারিখে শিশু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] থেকে।
- পতাকা উত্তোলন দিবস* : ২৩ মার্চ
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পল্টন ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। এই দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাস্বরূপ পালিত হয়।[৬]
- স্বাধীনতা দিবস : ২৬ মার্চ
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যা ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। ঐ দিন বেশ কয়েকবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে এই ঘোষণা প্রচারিত হয় এবং বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে যোগদান করে। এই যুদ্ধ ঐ বছরই ১৬ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে ও বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের এই দিনটিকে ‘স্বাধীনতা ঘোষণার দিবস’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
- জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস : ৩১ মার্চ
- ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশে, দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতিস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৭]
এপ্রিল
- জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস : ২ এপ্রিল
- পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ : ১৪ এপ্রিল
- বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বর্ষশুরু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।
- মুজিবনগর দিবস* : ১৭ এপ্রিল
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার (বর্তমান মেহেরপুর জেলা) বৈদ্যনাথতলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিপ্লবী সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলো।[৮]
মে
- মহান মে দিবস : ১ মে
- ফারাক্কা লংমার্চ দিবস বা ফারাক্কা দিবস : ১৬ মে
- ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাধাপ্রাপ্ত জলপ্রবাহের নিমিত্তে বাংলার মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে লাখো মানুষ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিলে অংশ নিয়েছিলো। সেই দাবিকে বারে বারে উত্থাপনের লক্ষ্যেই প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়।[৯]
- বাংলাদেশের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর জন্মবার্ষিকী : ২৫ মে
- নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস : ২৮ মে
জুন
- ছয় দফা দিবস* : ৭ জুন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ৬ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে রাস্তায় নেমে আসে লাখো লাখো মানুষ। হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নিহত হোন অন্তত ১১জন। তাঁদের স্মরণে এবং জাতীয় মুক্তির স্বারকস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।[১০]
- নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস বা ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস : ১৩ জুন
- নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশব্যাপী ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ঘোষিত ও প্রথম পালিত হয়।[১০]
- পলাশী দিবস : ২৩ জুন
জুলাই
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস : ১ জুলাই
- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।[১১]
- জন্ম নিবন্ধন দিবস : ৩ জুলাই
- ২০০৬ ২০০৬ সালে এই তারিখে বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।
আগস্ট
- দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস : ২৭ আগস্ট
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে খুলনার দিঘলিয়ার দেয়াড়া গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানী হানাদারদের গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে চালানো গণহত্যায় ৬০ জন নিরপরাধ বাঙালির হত্যা উপলক্ষে পালিত দিবস।[১৩]
সেপ্টেম্বর
- জাতীয় আয়কর দিবস : ১৫ সেপ্টেম্বর[১৩]
- ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই দিবস বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- মহান শিক্ষা দিবস : ১৭ সেপ্টেম্বর
- তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা-সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি চালু করার দাবিতে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলন দমাতে পুলিশ ঢাকার হাইকোর্ট মোড়ে গুলি চালায়। ন্যায্য দাবির জন্য এই গণহত্যার স্মরণে দিবসটি পালিত হয়।[১৪]
- কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস : ১৮ সেপ্টেম্বর
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দিনে হবিগঞ্জের কৃষ্ণপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ১২৭জন পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এছাড়া আশেপাশের এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে আরো প্রায় শতাধিক পুরুষকে হত্যা করে তারা।[১৪]
- প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবস : ২৩ সেপ্টেম্বর
- ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মাহুতি দেন। তিনি ১৯৩০খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা সূর্য সেনের সংস্পর্শে এসে এই সশস্ত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হোন।[১৪]
- মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস (গোপালপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার স্মরণে) : ২৯ সেপ্টেম্বর[১৫]
অক্টোবর
- পথশিশু দিবস : ২ অক্টোবর
নভেম্বর
- জাতীয় সমবায় দিবস : প্রথম শনিবার
- জেলহত্যা দিবস* : ৩ নভেম্বর
- ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় তৎকালীন পরাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা চার নেতাকে হত্যা করে ক্ষমতাসীন পাকিস্তানী সরকার। এই চার নেতা হলেন: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এই দিবসটি স্মরণ করে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালিত হয়।[১৬]
- সংবিধান দিবস : ৪ নভেম্বর
- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস* : ৭ নভেম্বর
- নূর হোসেন দিবস বা স্বৈরাচার বিরোধী দিবস : ১০ নভেম্বর
- সশস্ত্রবাহিনী দিবস : ২১ নভেম্বর
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশের সর্বদিক দিয়ে সামরিক বাহিনীসহ তৎকালীন বাঙালি আপামর জনতা একত্রে আক্রমণ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানী হানাদারদের উপর। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ রেখেই অতীতে বিভিন্ন দিবসে পালিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে এই দিনে পালন করা হয়।[১৭]
ডিসেম্বর
- মুক্তিযোদ্ধা দিবস* : ১ ডিসেম্বর
- জাতীয় যুব দিবস : ১ ডিসেম্বর
- স্বৈরাচার পতন দিবস* বা সংবিধান সংরক্ষণ দিবস : ৬ ডিসেম্বর
- ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিলো। পরবর্তীতে এরশাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি এই দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে।[১৭]
- জাতীয় যুব দিবস : ৮ ডিসেম্বর[১৭]
- রোকেয়া দিবস : ৯ ডিসেম্বর[১৭]
- শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস : ১৪ ডিসেম্বর
- বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর
- বাংলা ব্লগ দিবস: ১৯ ডিসেম্বর
দিবসটি প্রথমবার পালিত হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারনেটে প্রথম বাংলা ব্লগিং-এর সূচনা হয়। মূলত ব্লগিং, বিশেষ করে বাংলায় ব্লগিং-এ আগ্রহী করতেই ব্লগাররা দিবসটি পালন করে আসছেন।[১৮]
* এই দিবসসমূহ সাধারণত রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলে নিয়মিত পালিত হয় না।
বৈশ্বিক দিবসসমূহ
বিশ্বের কোনো এক দেশে প্রারম্ভের পর, দিবসটির প্রতিপাদ্যগত সৌন্দর্য্যে বা ফলপ্রদতায় আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশেও চালু হওয়া দিবসগুলোকে বৈশ্বিক দিবস, বিশ্ব দিবস বা আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
জানুয়ারি
- বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস: শেষ রবিবার
- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি করণীয় ও রোগ নিরূপণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবার বিশ্বের ১০০টিরও অধিক দেশে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়।[১৯]
- বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবস: ২ জানুয়ারি
- আন্তর্জাতিক কাস্টম্স দিবস: ২৬ জানুয়ারি
- ওয়ার্ল্ড কাস্টম্স অর্গানাইজেশনের (WCO) অন্যতম সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হয়।[৩]
ফেব্রুয়ারি
বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের জন্মবার্ষিকীতে সারা বিশ্বব্যাপী অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দিবসটি পালিত হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো আলতোর মানবতাবাদী সম্প্রদায় ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এই দিবসটি পালন শুরু করে, এবং এরপর দিবসটি প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে।[৪]
- ১৪ ফেব্রুয়ারি:বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে
- ১৫ ফেব্রুয়ারি: বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস
- ২৪ ফেব্রুয়ারি: বিশ্ব স্কাউট দিবস,
স্কাউটিং আন্দোলনের প্রবক্তা ব্যাডেন পাওয়েল ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁরই হাত ধরে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে স্কাউটিং আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। তাই এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী স্কাউট দিবস হিসেবে পালিত হয়।[৫]
মার্চ
- কমনওয়েলথ দিবস: দ্বিতীয় সোমবার
- সাংবার্ষিকভিত্তিতে মার্চ মাসের ২য় সোমবার কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় কমনওয়েলথ দিবস পালন করা হয়। সাধারণতঃ অধিভূক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, কমনওয়েলথ মহাসচিব এবং হাইকমিশনারগণের উপস্থিতিতে মহামান্য রাণী ২য় এলিজাবেথ ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে, লন্ডনে বহুমূখী বিশ্বাসযোগ্য সেবার বার্তা নিয়ে জনসমক্ষে উপস্থিত হন। সেখানে রাণী কমনওয়েলথবাসীদের কাছে তাঁর বক্তব্য পেশ করেন যা বিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।[২১]
- বিশ্ব বই দিবস: ৩ মার্চ
- বিশ্ব নারী দিবস: ৮ মার্চ
- বিশ্ব কিডনি দিবস: ১০ মার্চ
- আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস (International Day of Actions for Rivers): ১৪ মার্চ
- ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলের কুরিতিবা শহরে এক সমাবেশের আয়োজন করে নদীর প্রতি দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। তাইওয়ান, ব্রাজিল, চিলি,লেসোথো, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণ করা লোকজনই সর্বপ্রথম এই দিনে নদীকৃত্য দিবস পালনের ঘোষণা দেন।[২২]
- বিশ্ব পাই দিবস: ১৪ মার্চ
- পাই দিবস বা আপাত পাই দিবস গাণিতিক ধ্রুবক পাই (π)-এর সম্মানে উদযাপনের দিন। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর মার্চ ১৪ (৩/১৪) পাই দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ল্যারি শ’ যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো এক্সপ্রোরেটরিয়ামে সর্বপ্রথম পাই দিবস উদযাপন করেন। তাছাড়া এই দিনে বিজ্ঞানী আইনস্টাইনেরও জন্মদিন।[২৩] তবে আপাত পাই দিবস নানা দিনে পালিত হয়ে থাকে।
- পঙ্গু দিবস: ১৫ মার্চ
- বিশ্ব ক্রেতা অধিকার দিবস: ১৫ মার্চ
- বিশ্ব শিশুনাট্য দিবস: ২০ মার্চ
- বিশ্ব বন দিবস: ২১ মার্চ
- বিশ্ব বর্ণবৈষম্য দিবস: ২১ মার্চ
- বিশ্ব পানি দিবস: ২২ মার্চ
- বিশ্ব আবহাওয়া দিবস: ২৩ মার্চ[৬]
- বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস: ২৪ মার্চ[৬]
- আর্থ আওয়ার: ২৬ মার্চ
- বিশ্ব নাট্য দিবস: ২৭ মার্চ
এপ্রিল
- বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস: ২ এপ্রিল
- বিশ্বব্যাপী অটিজম বা মানব-প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৭]
- বিশ্ব শিশু বই দিবস : ২ এপ্রিল
- বিশ্ব মাইন বিরোধী দিবস : ৪ এপ্রিল
- বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস : ৭ এপ্রিল
- বিশ্ব কণ্ঠ দিবস: ১৬ এপ্রিল
- বিশ্ব হিমোফেলিয়া দিবস : ১৭ এপ্রিল
- বিশ্ব ধরিত্রী দিবস: ২২ এপ্রিল
- ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মরোলেস-এর প্রস্তাবে এ দিনটিকে বিশ্ব ধরিত্রি দিবস হিসেবে পালনের ব্যাপারে জাতিসংঘ অনুমোদন দেয়।[৮]
- বিশ্ব পুস্তক দিবস বা বিশ্ব গ্রন্থ ও গ্রন্থস্বত্ত্ব দিবস: ২৩ এপ্রিল
- বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস: ২৪ এপ্রিল[২৪]
- বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস : ২৫ এপ্রিল
- বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস: ২৬ এপ্রিল[২৪]
- আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস : ২৬ এপ্রিল
- বিশ্ব নকশা দিবস : ২৭ এপ্রিল
- বিশ্ব পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস: ২৮ এপ্রিল[২৪]
মে
- বিশ্ব সাংবাদিকতা দিবস: ৩ মে
- বিশ্ব রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস: ৮ মে
- বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস (ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে) : ১৭ মে: ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লীগের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপারে সচেতনতার লক্ষ্যে এই দিবসটি পালিত হয়।[৯]
- বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস: ১৭ মে
- আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস: ১৮ মে: ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৯]
- বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস: ৩১ মে
জুন
- বিশ্ব বাবা দিবস: তৃতীয় রবিবার।
- ধারণা করা হয়, ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমেন্টের এক গির্জায় দিবসটি প্রথম পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী মা দিবসের অনুকরণে বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশার্থে দিবসটি পালিত হয়।[২৫]
- বিশ্ব পরিবেশ দিবস: ৫ জুন
- বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস: ৮ জুন
- শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষাকল্পে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একজোটে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে এই দিবসটি পালিত হয়। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়।[১০]
- বিশ্ব রক্তদাতা দিবস: ১৪ জুন
- বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীকে বেগবান করতে ও রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[২৫]
- বিশ্ব মরুময়তা দিবস (World Day to Combat Desertification and Drought): ১৭ জুন
- বিশ্ব সঙ্গীত দিবস: ২১ জুন
জুলাই
- বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবস: ২ জুলাই[২৬]
- বিশ্ব বাঘ দিবস (Global Tiger Day): ২৯ জুলাই
- ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই থেকে এই দিবসটি বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
আগস্ট[সম্পাদনা]
- বিশ্ব বন্ধু দিবস: প্রথম রবিবার
- ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রতি বছরের প্রথম রবিবারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।[২৭]
- বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস: ১ আগস্ট
- হিরোশিমা দিবস: ৬ আগস্ট
- নাগাসাকি দিবস: ৯ আগস্ট
সেপ্টেম্বর
- বিশ্ব নৌ দিবস: ১৮ সেপ্টেম্বর
- বিশ্ব কারামুক্ত দিবস: ২২ সেপ্টেম্বর
- যানজট, দূষণ ও জ্বালানি ব্যয় কমাতে ইউরোপে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[১৪] এখন দিবসটি বিশ্বজনীন মর্যাদা পেয়েছে।
- ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে শুরু হলেও ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা-সংগঠন সার্কের উদ্যোগে প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই দিবসটি উপলক্ষে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে শিশুদের জন্য এবং তাদের ভবিষ্যত উন্নতির লক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।[২৮]
- বিশ্ব হার্ট দিবস: ২৬ সেপ্টেম্বর[১৫]
- বিশ্ব পর্যটন দিবস: ২৭ সেপ্টেম্বর[১৫]
- বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস: ২৮ সেপ্টেম্বর[১৫]
- বিশ্ব কন্যা শিশু দিবস: ৩০ সেপ্টেম্বর
অক্টোবর
- আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস: ১ অক্টোবর
- বিশ্ব নিরামিষ দিবস: ১ অক্টোবর
- বিশ্ব প্রাণী দিবস: ৪ অক্টোবর[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- বিশ্ব শিক্ষক দিবস: ৫ অক্টোবর
- শিক্ষকদের অধিকার নিয়ে ইউনেস্কো ও আইএলও‘র মধ্যকার ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে সই করা চুক্তির প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[২৯]
- বিশ্ব ডাক দিবস: ৯ অক্টোবর
- ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৯ অক্টোবর ২২টি দেশের প্রতিনিধিরা প্রথম আন্তর্জাতিক ডাক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তখন থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৩০]
- বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস: ১০ অক্টোবর
- মানসিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।[৩০]
- বিশ্ব মান দিবস: ১৪ অক্টোবর
- বিশ্ব দৃষ্টি দিবস: ১৪ অক্টোবর
- বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের প্রতি সাধারণ্যের দৃষ্টিকে সংহত করতে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এখন দিবসটি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ নিরাময়যোগ্য অন্ধত্বকে নির্মূল করার লক্ষ্যে পলিত হচ্ছে।[৩০]
- বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস: ১৫ অক্টোবর
- বিশ্ব খাদ্য দিবস: ১৬ অক্টোবর
- বিশ্ব তথ্য উন্নতকরণ দিবস: ২৪ অক্টোবর
- বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস: ৩১ অক্টোবর
- আন্তর্জাতিক পোস্টকার্ড সপ্তাহ: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ
- বিশ্ব স্থাপত্য দিবস: অক্টোবরের প্রথম সোমবার
- বিশ্ব হাসি দিবস: অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার
নভেম্বর
- বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস: ১৪ নভেম্বর
- বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস: ১২ নভেম্বর
- অতীতে ১ নভেম্বর অথবা ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হতো। কিন্তু ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সারা বিশ্বে সম্মিলিতভাবে ১২ নভেম্বর দিবসটি পালন শুরু হয়।[১৬]
- আফ্রিকার শিল্পায়ন দিবস: ২০ নভেম্বর
- ফিলিস্তিন সংহতি দিবস: ২৯ নভেম্বর
ডিসেম্বর
- বিশ্ব এইড্স দিবস: ১ ডিসেম্বর
- বিশ্ব পর্বত দিবস: ১১ ডিসেম্বর
- বড় দিন বা যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন: ২৫ ডিসেম্বর
আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ
সাধারণত জাতিসংঘ কর্তৃক চালু করা ও উদযাপিত দিবসগুলোই “আন্তর্জাতিক দিবস” হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাংলাদেশ, জাতিসংঘের অন্যতম সদস্য হিসেবে এই দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে।
জানুয়ারি
- আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস: ২৫ জানুয়ারি
ফেব্রুয়ারি
- প্রতি বৎসর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস বা বিশ্ব ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন করা হয়।
- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: ২১ ফেব্রুয়ারি
- ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো‘র প্যারিস অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে বাঙালি জাতির ভাষার জন্যে আত্মাহুতিকে সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি প্রথম, সারা বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে পালন শুরু হয়।[৫]
মার্চ
- বিশ্ব পানি দিবস : ২২ মার্চ
এপ্রিল
- আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস : ২৯ এপ্রিল
মে
- আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস : ১ মে
- ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে ধর্মঘট আহ্বান করেছিলেন খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা।১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৩১]
- আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস : ১৫ মে
- আন্তর্জাতিক যাদুঘর দিবস : ১৮ মে
- বিশ্ব শান্তিরক্ষী দিবস : ২৯ মে
- ২০১১ খ্রিস্টাব্দের[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৪/১২৯ প্রস্তাবনার আলোকে এই দিনকে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।[৩২]
জুন
- বিশ্ব মহাসাগর দিবস : ৮ জুন
- ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোতে সংঘটিত ধরিত্রী সম্মেলনে প্রথম এই দিনটিকে বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয় এবং পরবর্তিতে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালনের ঘোষণা দেয়।[১০]
- বিশ্ব শরণার্থী দিবস : ২০ জুন
- ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫-৭৯ ভোটে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয় এবং ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়। বিশ্বব্যাপী শরনার্থীদের অমানবিক অবস্থার প্রতি বিশ্ব নের্তৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দিবসটি পালিত হয়।[২৫]
- আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস : ২৬ জুন
- মাদকের ভয়াবহতা রোধে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের ৪২তম অধিবেশনে এই তারিখে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[১১]
জুলাই
- আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস : প্রথম শনিবার
- ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী সমবায়ের মনোভাবকে গুরুত্ব দিতে প্রতিবছর জুলাই মাসের প্রথম শনিবার।আন্তর্জাতিকভাবে সমবায় জোট গড়ে তোলা এই দিবসটির একটি মূল উদ্দেশ্য।[২৬]
- বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস : ১১ জুলাই
- ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর গভর্নিং কাউন্সিল বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দিবসটি চালু করে।[২৬]
আগস্ট
- আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস : ৯ আগস্ট
- ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ সাব-কমিশনের আদিবাসী জনগণ সম্পর্কিত কর্মগোষ্ঠী তাদের প্রথম সভায় এই তারিখে দিবসটি পালনের জন্য বেছে নেয়। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার, পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও গণসচেতনতা তৈরি করাই দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য।[২৭]
সেপ্টেম্বর
- বিশ্ব স্বাক্ষরতা দিবস : ৮ সেপ্টেম্বর
- ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো এই দিবসটির ঘোষণা দেয়। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রথমবারের মতো পালিত হয়।[১৩]
- আন্তর্জাতিক ওজনস্তর রক্ষা দিবস : ১৬ সেপ্টেম্বর
- ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দিবসটি নির্বাচন করা হয়।[১৩]
- বিশ্ব শান্তি দিবস : ২১ সেপ্টেম্বর
- ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতির উদ্দেশ্যে এ দিবসটি জাতিসংঘের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তে প্রথমবারের মতো পালিত হয়।[১৪]
অক্টোবর
- বিশ্ব শিশু দিবস : ১ অক্টোবর
- ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ এপ্রিল দিবসটি প্রথম পালিত হলেও পরে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।[৩৩]
- আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস : ১ অক্টোবর
- ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের হিসাবে বিশ্বে প্রবীণদের সংখ্যা ৭০ কোটি, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৭% প্রবীণ এবং বাংলাদেশের প্রবীণদের ৭৮% বিধবা। জাতিসংঘের সংজ্ঞানুযায়ী ৬০ বছর বয়সোর্ধ্ব ব্যক্তিকে “প্রবীণ” বলা হয়।[২৯]
- বিশ্ব শিক্ষক দিবস : ৫ অক্টোবর
- বিশ্ব আবাসন দিবস বা বিশ্ব বসতি দিবস : প্রথম সোমবার
- ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪০তম অধিবেশনে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে জাতিসংঘ, বসবাড়ির পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখায় ব্যক্তি ও সংস্থাকে “জাতিসংঘ বসতি পুরস্কার” প্রদান করছে।[২৯][৩৪]
- আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হ্রাসকরণ দিবস : দ্বিতীয় বুধবার
- আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস : ১৫ অক্টোবর
- ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৫ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[৩০]
- আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস : ১৭ অক্টোবর
- জাতিসংঘ দিবস : ২৪ অক্টোবর
ডিসেম্বর
- আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস : ৩ ডিসেম্বর[১৭]
- আন্তর্জাতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস : ৫ ডিসেম্বর
- আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস : ৭ ডিসেম্বর
- আন্তর্জাতিক দূর্নীতিবিরোধী দিবস : ৯ ডিসেম্বর[১৭]
- মানবাধিকার দিবস: ১০ ডিসেম্বর
- ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে জাতিসংঘের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দিবসটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত লাভ করে এবং এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।[১৭][৩৫] দিবসটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত এবং বিশ্বের সর্বত্র পালিত হয়। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকায় শার্পেভিল গণহত্যাকে স্মরণ করে দিবসটি পালন করা হয় ২১ মার্চ।[৩৬]
- আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস : ১৮ ডিসেম্বর
- অধিকার সংরক্ষণ ও নিজ নিজ দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতির দাবিতে ২০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ঐ বছর ৪ ডিসেম্বরজাতিসংঘের ৫৫তম সাধারণ পরিষদের সবায় দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[১৭]
- আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস : ২৯ ডিসেম্বর
(2248)