সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিএনসিসির নৌ শাখার সদস্য রাশিদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে তুষার নামের এক ছাত্রলীগকর্মীকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তুষারের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে গোলযোগের সৃষ্টি হলে ক্যাম্পাসে দায়িত্বে থাকা জেলার এএসপি মাহবুবুজ্জামানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের কর্মী আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মাহমুদ জুবায়ের, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রিয়ন মিয়া, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সোহাগ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সাজ্জাদ হোসেন বিপুল অনুষদ ভবনের করিডরে থাকা রাশিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রাশেদকে করিডরে থাকা ভাঙা চেয়ার দিয়ে মারা হয়। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাশেদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর বন্ধু মিনহাজ বলেন, রাশেদের অবস্থা খুবই খারাপ। ডাক্তার বলেছেন, সিটি স্ক্যান না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় অনুষদ ভবন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা হামলা করেছে তারা সন্ত্রাসী। ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। টেন্ডার ঘোষণার আগে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে, তাতে ছাত্রলীগের সমর্থন থাকবে। প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান এ বিষয়ে বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছিল। সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ঘটনাটিকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, এর সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বিএনসিসির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বিএনসিসির পক্ষ থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(2)