সারাবছর পানি জমে থাকায় কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার কাশোয়ার বিল ছিলো কচুরিপোনার ভাগাড়। এ কারণে ধান-পাট চাষাবাদের সুযোগ ছিলো না এই বিলে। এখন ১৫ হেক্টর আয়তনের বিলটিতে আবাদ হচ্ছে ডাঁটা, লালশাক, পালংশাক, ঢেড়শ, পাটশাকসহ নানা শাকসব্জি। গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ নতুন পদ্ধতির চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। কৃষকরা বলছে, নতুন পদ্ধতির চাষাবাদে রাসায়নিক সার অথবা কীটনাশক দিতে হয় না। এতে কৃষককের খরচও গেছে কমে। তাই অর্গানিক সবজি উৎপাদনে কৃষকরা লাভও পাচ্ছেন বেশি।
কচুরিপানার ওপর চাষাবাদের কারণে মাছচাষও হয়েছে সহজ। এতে কম খরচে একই সাথে মাছ ও সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এ ব্যাপারে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তারা স্থানীয় কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। জেলা প্রশাসনও দাবি করছে, এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নতুন এই পদ্ধতি।
শুরুতে কিশোরগঞ্জ জেলার একটি বিলে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হলেও এক বছরের মধ্যে তা ছড়িয়ে গেছে পাশাপাশি মারিয়া বিল, সোলমারা বিল, গালিনগাজী বিলসহ নানা এলাকায়। এ বছরেই জেলার ১০১টি বিলে শুরু হয়েছে নতুন এ চাষ পদ্ধতি। এ চাষাবাদ অনুসরণ করে দেশের যে সব স্থানে জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে সে সমস্ত জলাভুমিতে লাভজনক ভাবে এ চাষাবাদ করা যেতে পারে।
(7)