সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর এবার বাড়ছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতিসহ সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত সংশোধনী আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুইয়া, নতুন বেতন কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থান পায় বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক পদের বেতন ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি।
রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের নতুন জাতীয় বেতন কাঠোমোর সাথে মিল রেখে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার থেকে শুরু করে সংসদ সদস্যদের বেতন বাড়ানো সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে প্রস্তাবিত নতুন বেতন কাঠামোর নানা দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে রাষ্ট্রপতির বেতন ৬১ হাজার ২০০ থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর বেতন ৫৮ হাজার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, প্রস্তাবিত নতুন আইনে স্পিকারের বেতন ১ লাখ ১২ হাজার আর প্রধান বিচারতির বেতন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, চিফ হুইপ ও আপিল বিভাগের বিচারকদের বর্তমান বেতন ৫৩ হাজার ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে, ১ লাখ ৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয় সংশোধিত আইনে।
প্রস্তাবিত নতুন এই বেতন কাঠামোয় হাইকোর্টের বিচারকের বেতন ৪৯ হাজার থেকে বেড়ে ৯৫ হাজার, প্রতিমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় উপনেতা ও সংসদের হুইপদের বেতন ৪৭ হাজার ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া উপমন্ত্রীর বেতন ৪৫ হাজার ১৫০ থেকে বাড়িয়ে ৮৬ হাজার ৫০০ এবং সংসদ সদস্যদের বেতন ২৭ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
একই সাথে বাড়বে তাদের সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও। সংশোধিত আইনে গুরুত্ব পেয়েছে দৈনিক ভাতার বিষয়টিও। এছাড়া, স্বেচ্ছায় বেসরকারি বাড়িতে থাকলে বাড়তি ভাতা পাবেন তারা। সংসদের আগামী অধিবেশনেই সংশোধিত আইনটি পাস হবার কথা। তবে নতুন বেতন ভাতা কার্যকর হবে চলতি বছরের পয়লা জুলাই থেকে। আর আগামী বছরের পয়লা জুলাই থেকে কার্যকর হবে অন্যান্য সুবিধা।
(5)