জেজেএস’র নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. নূরুল কাদির এবং ইউএনডিপির এসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম। স্বাগত বক্তৃতা করেন, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের হেড অব কোষ্টাল প্রোগ্রাম মোঃ মাহমুদুন নবী খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. দিলিপ কুমার দত্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: আবদুস সামাদ বলেন, খাল-পুকুর-জলাশয় বন্ধ করে কোন স্থাপনা নয়, বরং সেগুলো সংরক্ষণ করে মিষ্টি পানির আধার তৈরি করতে হবে। খুলনার সব জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসককে ইতোমধ্যে সকল প্রকার সরকারি ও খাস জমির জলাশয় সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি কোন সংস্থার পক্ষে যদি খাস জমিতে পুকুর খনন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় তাদেরকে সহায়তা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়ে টিআর, কাবিখা’র অন্তত: ৩০% অর্থ খাল ও পুকুর খনন কাজে ব্যবহারের নির্দেশনা জারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যমুনা ও পদ্মার মাটি আর সমুদ্রের বালু দিয়ে ইট বা টাইলস্ তৈরি করে আর্থিকভাবে সাফল্য আনা যায় কি না সেজন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করতে পারে। একই সাথে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় না করে বরং এগুলো প্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারে সিটি কর্পোরেশন। আমাদের দেশে বনায়ন কর্মসূচীর মাধ্যমে যে কার্বন নি:স্বরন করা হচ্ছে এজন্য উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে বিল আদায় করার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি যুগ্ম সচিব ড. নূরুল কাদির বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন-জিবিকা নিয়ে কোন প্রকার ব্যবসা করা করা যাবে না। উপকূলীয় এলাকার মানুষের অভিযোজন কৌশলকে সহনশীল ক্ষমতা হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি ইউএনডিপির খুরশিদ আলম বলেন, বিভিন্ন দেশ এবং দেশের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জাপানকে একটি উদাহরণ হিসেবে নেয়া যেতে পারে।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, খুবি’র ইউআরপি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিল সওগাত, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের প্রকল্প সমন্বয়কারী পলাশ কান্তি হালদার, জেজেএস’র প্রকল্প সমন্বয়কারী জিয়া আহমেদ, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেতুলতলা গ্রামের অধিবাসী আঃ কাদের মৃধা এবং জেজেএস’র পিএনডিসিএ’র সদস্য সুলতানা মিলি ও খালেদা আক্তার। এসব প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন, সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতিমা জামিল, ইউনিসেফ’র শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জামিল হাসান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আসগর, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মোঃ সাবেরুল আলম।
সম্মেলনে খুলনার উপশহর পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বিষয়ক কারিগরি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, খুলনা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন আহমেদ।
সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তৃতা করেন, খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন মিন্টু, জেজেএস’র প্রকল্প সমনন্বয় কারী শেখ নাজমুল হুদা, রিয়াদ হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ বিঞ্জপ্তি
(8)