এমনটাই বলছেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। দাবি করেন, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণ ও প্রশাসনে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এটি করা না হলে, কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
ধর্মীয় ও জাতিগত জনগোষ্ঠীর এতো বড় সমাবেশ স্বাধীনতার পর আর দেখা যায়নি বাংলাদেশে। বিভিন্ন সময় নিপীড়ন আর বঞ্চনার কথা বললেও, শুক্রবারের ঐ মহাসমাবেশে নেতারা বললেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাদের। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান আর জাতিগত সম্প্রদায়ের জন্য কোটা সংরক্ষণসহ সাত দফা দাবী জানান তারা। যেগুলোর মধ্যে আছে সংসদে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য ৬০টি আসন সংরক্ষণ, প্রশাসনে ২০ শতাংশ পদায়ন।
১৯৪৭ এ ভারত উপমদেশের মানচিত্র বদলে যাওয়ার সময় এদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি ছিলো প্রায় ৩০ শতাংশ। যা এখন নেমে এসেছে প্রায় দশ শতাংশে। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপেক্ষা করার কারণেই এই পরিস্থিতি। তাদের নাগরিক পরিচয় ছাপিয়ে ভোটার পরিচয়টাই প্রধান হয়ে উঠেছে দিনের পর দিন।
একই অবস্থা পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষগুলোরও। পার্বত্য চট্টগ্রামে এই জনগোষ্ঠির হার যেখানে ছিলো ৯৯ শতাংশ। তা এখন নেমে এসেছে অর্ধেকে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্বীকার করে নিলেন, দিনের পর দিন অবহেলা করা হয়েছে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের। এই দাবি আমলে না নেয়ার কোন বিকল্প নেই।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা মনে করেন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে তা হবে গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।
(0)