তবে এখনও বিচার হয়নি একটি হত্যারও। ২০১৩ এর ফ্রেব্রুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে যখন উত্তাল শাহবাগ, তখন দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে নিহত হন আহমেদ রাজিব হায়দার। দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম ব্লগার হত্যাকান্ড।
থাবা বাবা নামে পরিচিত রাজিব হায়দার মূলত লেখালেখি করতেন ইসলাম ধর্মের নানা বিষয় নিয়ে। এর দুই বছর পর গত ফেব্রুয়ারিতে বই মেলা থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারান মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন প্রবাসী লেখক অভিজিৎ রায়। এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদ। হত্যার আগে উগ্রপন্থীদের নানা রকম হুমকি পাচ্ছিলেন অভিজিৎ।
অভিজিৎ হত্যার কিছুদিন পরই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আরেক ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে। তিনিও ইসলামসহ নানা ধর্মের সমালোচনা করে লিখতেন। চলতি বছরের মে মাসে সিলেটে খুন হন ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস। মুক্তমনা ব্লগে লিখতেন তিনি।
এছাড়া সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করতেন বিজয়। লেখালেখির জেরে ব্লগার হত্যাকান্ডে সবশেষ সংযোজন নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়। গেলো ৭ আগস্ট রাজধানীর বাসায় ঢুকে হত্যা করা হয় তাকে।
এই পাঁচটি হত্যাকান্ডেই কখনও আল কায়েদা আবার কখনও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের মতো জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে টুইট করেছে। সব কটি হত্যার ধরন মোটামুটি একইরকম। তবে এখনও বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি কাউকে।
শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ার সি ব্লকে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্লগার অভিজিতের বইয়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বত্তরা।
গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করা হয় শুদ্ধস্বরের প্রকাশক ও ব্লগার আহমেদুর রশিদ টুটুল, রণদীপম বসু ও তারেক রহিমকে। পুলিশ জানিয়েছে দুপুর দুটার দিকে ঐ অফিসে হামলা চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
রাজধানীর শাহবাগে জাকৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দিপনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। ফয়সাল আরেফিন অভিজিৎ রায় এর বই এর প্রকাশক ছিলেন।
(2)