সরকারী দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে এবং তলে তলে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং কেন্দ্র দখলের বিষয়টি ভোট শুরুর দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে স্পষ্ট হয়ে পড়ে।
ভোটের সময় ধামরাইয়ের ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের মাঠে এক তাড়া ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখেছেন সংবাদদাতা রাকিব হাসনাত। কেন্দ্রের একটি কক্ষের মেঝেতেও বেশ কিছু ব্যালট পেপার পড়ে ছিল।
আমাদের সংবাদদাতা বলছেন, অধিকাংশ কেন্দ্রেই সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন কার্যত তাদের দখলে রেখেছিল।
ফলে দুপুর থেকে ভোটার উপস্থিতি দ্রুত পড়ে যেতে থাকে। “বেলা বারোটার পর থেকে কেন্দ্রগুলো বলতে গেলে ভোটার শূন্য হয়ে পড়ে।”
বেলা সাড়ে বারোটায় ইসলামপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে একজন ভোটার দেখতে পাননি আমাদের সংবাদদাতা। বিএনপি প্রার্থীর কোনও এজেন্ট ছিলনা ঐ কেন্দ্রে।
অনেকগুলে কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ধামরাইয়ের বর্তমান মেয়র এবং বিএনপি নেতা দেওয়ান নাজিমুদ্দিন বিবিসিকে বলেন, সকাল সাড়ে নটার মধ্যেই চার-পাঁচটি কেন্দ্র তেকে তার এজেন্টদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়।
বিএনপির এজেন্ট কেন নেই, জানতে চাইলে জ্যোতি বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, কেন নেই তিনি তা জানেন না, কেউ তাকে কোনও অভিযোগ করেনি।
এত কিছু হয়েছে, কিন্তু পুলিশের উপম্থিতি যথেষ্ট ছিল বলেই আমাদের সংবাদদাতার মনে হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লা বলেছেন, মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। bbc
(1)