আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে- এটিকে ‘ভ্রান্ত ধারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘সব সময় রাজনৈতিক মতাদর্শ না দেখে সাইফুর রহমান কর্মদক্ষতাকে অধিক গুরুত্ব দিতেন। আমার দেখা এটিই তার অন্যতম মহৎ গুণ।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে- এটি একটি ‘ভ্রান্ত ধারণা’। উন্নয়ন একটি প্রবাহমান ধারা। দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যার শুরুটা হয়েছিল এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা ২০২১ সালের মধ্যেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করছেন।
অবশ্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার আগেই ইশতেহারে ভিশন ২০২১ ঘোষণা করে। সেখানে তারা ওই সময়ের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট চালুকে দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এটিএম শামসুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘সাইফুর রহমান ভ্যাট প্রবর্তন না করে গেলে আজ যারা কথায় কথায় উন্নয়ন নিয়ে বড় বড় বুলি ছাড়েন, তাদের খুঁজে পাওয়া যেত না।’
সাবেক সিইসি বলেন, ‘মেয়েদের উপবৃত্তি, শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য ও ভ্যাট প্রবর্তন- এই তিন পদক্ষেপের জন্য সাইফুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার এই তিনটি পদক্ষেপ এখনো চলমান। এগুলো এমনই যে, দেশের উন্নয়নে সব সরকারই তা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাইফুর রহমান এদেশের আর্থিক সুব্যবস্থার প্রধান স্থপতি। তিনি ব্যাংকিং খাতে শৃক্সখলা ফিরিয়ে এনেছিলেন। রাজনীতির জন্য যা ভালো, তা অর্থনীতির জন্য ভালো নাও হতে পারে- এই মর্মকথা মেনেই তিনি কাজ করেছিলেন।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- সাবেক অর্থসচিব ও বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খান, সাবেক অর্থসচিব ছিদ্দিকুর রহমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মাদ মুনসুর, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
(1)