খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি: নগরীর মহেশ্বপাশা শান্তিনগরের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আটটি টিনসেটের ঘর সম্পুর্ণ ভূষ্মিভুত হয়ে সাতটি অসহায় হতদরিদ্র পরিবার নি.স্ব হয়ে গেছে। গতকাল ৬ মে শনিবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে শান্তিনগরের ভ্যান চালক দরিদ্র মুজিবর রহমানের বাড়ীতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে মুজিবর রহমানের দুটি ঘর সহ তার ৬টি ভাড়াটিয়ার টিনসেটের ঘর সম্পুর্ণ পুড়েগেছে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা ফায়ার স্টেশনের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই সাতটি হতদরিদ্র পরিবারের ঘরের সকল মালামাল পুড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রহস্থরা ক্ষতির পরিমান প্রায় ২৫/৩০ লক্ষ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো দাবী করেছে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কৃষ্ণ নামের একজন শ্রমিক আহত হয়েছে এছাড়াও বিদ্যুৎ ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়াসার পানির লাইন ও ক্ষতিগ্রহস্থ হয়েছে বলে জানাগেছে। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর দাবী সড়কটি সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঘটনাস্থলের পৌছাতে না পারায় তারা দূরে গাড়ী রেখে পাইপের মাধ্যমে পানি নিয়ে কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান খান খোকন, সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা শাহাদাৎ মিনা, কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমান স্বপন।
জানাগেছে, দৌলতপুর থানাধিন মহেশ্বরপাশা শান্তিনগর এলাকার ভ্যান চালক দরিদ্র মুজিবর রহমানের ভাড়াটিয়ার টিনসেটের ঘরে ৬ মে শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন তার আরো পার্শবর্তি মুজিবর রহমানের আরো ৭টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশিরা এবং মুজিবর রহমানের ভাড়াটিয়া ভিক্ষুক কাদের জানায়, ভোর রাতে কাদেরের ঘরে আগুন দেখে কাদেরের চিৎকার চেচামেচিতে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে দেখে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে প্রতিবেশিরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দৌলতপুর ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরই মধ্যে মুজিবর রহমান নিজর ঘর এবং তার ভাড়াটিয়া কাঠের দোকানের শ্রমিক কৃষ্ণ, গৌতম, শ্রমিক বৃষ্টি, ভিক্ষুক আব্দুল কাদের, শ্রমিক লিটন এবং সবুজের টিনের ঘরের আসবাপত্রসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের ওয়াসার পানির লাইন ও বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ্ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার গুলো দাবী করে তাদের পরনের কাপুড় ছাড়া কিছুই বের করতে পারিনি। তাদের দাবী সাতটি পরিবারের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেশিরা অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঘটনাস্থলে পৌছাতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
অগ্নিকান্ডের খবর শুনে ্দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন খুলনা ৩ আসনের সংসদ সদস্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, এর আগে সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুল খালেক। শ্রম প্রতিমন্ত্রী এবং সিটি মেয়র ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এর আগে অগ্নিকান্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে আসেন সিটি কর্পোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলে তাদের খোজখবর নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ১০হাজার টাকা প্রদান করেন। এর আগে ফজরের নামাজের পরপরই ঘটনাস্থলে আসেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান খান খোকন, সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা শাহাদাৎ মিনা, কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমান স্বপন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে শাহাদাৎ হোসেন মিনা নগদ ১০হাজার টাকা ও চাল,ডাউলসহ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান স্বপন ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন যোগিপোল ইউনিয়নের মহিলা মেম্বর শাহরা জলি খানম, খানজাহান আলী থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. জাহিদ শেখ।
(0)