আসাফুর রহমান কাজল
মাদক, জলাবদ্ধতা, মশা এবং কিশোর গ্যাং এর উৎপাত রয়েছে এ ওয়ার্ডে। এসব বিষয়ে কাউন্সিলর বা নেতারা উদাসিন। ফলে দিন দিন এসব বেড়ইে চলেছে। বলছেন এলাকাবাসী। আর বর্তমান কাউন্সিলর বলছে, এলাকার মূল সমস্যা ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তা-ঘাট সংস্কার করেছি। মষক নিধনে কাজ করেছি। আর এসব বিষয়ে আমাদের মেয়র যথেষ্ট আন্তরিক। ওয়ার্ডবাসী আমাকে সবসময় তাদের পাশে পায়। আমি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রায় সবটাই পুরন করেছি।
জানাযায়, নগরীর ২ নং ওয়ার্ডের মানুষ জলবদ্ধতা, বেহাল সড়ক, মাদক এবং কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা রয়েছে। ওয়ার্ডবাসীর এসব সমস্যা সমাধান করার মানসিকতা নিয়ে এবার সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নিবার্চনের মাঠে রয়েছেন ৬ প্রাথী। অবহেলিত এসব মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করার প্রত্যায় নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২ নং ওয়ার্ড। নগরঘাট থেকে বেলঘাট, সোনালী জুট মিল, এ্যাজাক্স জুট মিল, আরআরএফ, পিটিসি, টিবি হাসপাতাল, আইডি হাসপাতাল, বিভাগীয় খাদ্য গুদাম এলাকা নিয়ে যার অবস্থান। এ ওয়ার্ডের জনসংখ্যা রয়েছে ২৬ শহস্রাধিক। ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র ৫টি।
এ ওয়ার্ডে এবার সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভ্রাতা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান মুকুল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী শাকিল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এফএম জাহিদ হাসান জাকির, বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ বজলুর রহমান।
উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখে এলাকার মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণ, রস্তাঘাট সংস্কার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রসার, জলবদ্ধতার নিরসন এবং জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের কথা ভাবছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে এটি আমি বিশ্বাস করি। শত প্রতিকুলতার মধ্যে আমি যেভাবে কাজ করেছি তাতে এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিবে। আমাকে মানুষ সবসময় পাশে পায়, তাদের প্রয়োজনে আমি হাজির হই তাদের পাশে।
বর্তমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভ্রাতা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, আমাদের এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই শ্রমিক। আর আমি একজন শ্রমিক নেতা। শ্রমিকদের সমস্যা আমি বুঝি। এ ওয়ার্ডটাকে আমি নিজের মতো করে সাজাতে চাই। মানুষের দুঃখ, দুর্দশায় পাশে থাকতে চাই।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান মুকুল জানান, এ ওয়ার্ড শ্রমিক এলাকা। সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে এখানে। আমি স্থানীয় ছেলে। ফলে এলাকাবাসির সাথে আমার বোঝাপোড়াটা ভাল। এ ওয়ার্ডে ২৭টি ছোট বড় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলোর উন্নয়নে আমি কাজ করতে চাই। আমি কাউন্সিলর হলে এলাকার অবহেলিত মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াবো।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী শাকিল আহমেদ জানান, বর্তমান কাউন্সিলর ৩০/৪০ শতাংশ ওয়াদা পুরন করেছে। সার্বিক উন্নয়ন করতে পারেনি। ড্রেণেজ, মষক, মাদক, পানি নিঃষকাশন সমস্যা, ফুলবাড়ি গেট বাজার নিয়ে জটিলতা রয়েছে সেটিও সমাধান হয়নি। গত নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু অভ্যান্তরিণ কন্দোলের জন্য হেরে যাই। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভুমিকা রাখা এবং এলাকাবাসীর ভালবাসাই এবার আমাকে জয়ী করবে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এফএম জাহিদ হাসান জাকির জানান, এলাকার মাদক নির্মূলে আমার কোনদিন আপোষ করিনি। আমি মনে করি বর্তমান কাউন্সিলর সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকারের কোন উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি এ ওয়ার্ডে। এলাকার মাদক, বেকারত্ব বড়- সমস্যা। তাছাড়া বর্তমান কাউন্সিলর এ এলাকার বাসিন্দাই না।
জনগণের সেবা করাটাকে ইবাদত মনে করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ বজলুর রহমান। তিনি বলেন, একজন আমানতদারী হিসেবে মানুষের কল্যাণে সর্বদা কাজ করার মানষিকতা রয়েছে আমার। আমি মনেকরি এবার কেসিসি নির্বাচনে জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ। সাধারণ মানুষের সাথে মিশে কাজ করি আমি। সেকারণে মানুষ এবার আমাকে নিবার্চিত করবে বলে তিনি জানান।
সৌজন্যে দৈনিক খুলনা
(8)