একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর ফলে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে এন্টিবায়োটিক-রোধী ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। এ কারণে যক্ষা, শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং গণোরিয়ার মতো যৌনরোগের চিকিৎসার কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে।
এতে অনেক সময় সাময়িকভাবে রোগ সেরে গেলেও, রোগীকে যেমন ঐ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হতে পারে।
এমন প্রেক্ষাপটেই আজ থেকে এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শুরু হচ্ছে বিশ্ব এ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বব্যপী এই সপ্তাহটি পালন করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, এন্টিবায়োটিকের নির্বিচার ব্যবহারএখন এমন স্তরে গেছে যে এই প্রথমবারের মতো তারা এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির জন্য একটি বৈশ্বিক প্রচারাভিযান শুরু করেছে।
এর উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে এটা মনে করিয়ে দেয়া যে এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, তাই এটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া দরকার। তা না হলে ওষুধ হিসেবে এটা কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলবে।
এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে যক্ষা, নিউমোনিয়া, এইচআইভি, বা মূত্রনালীর সংক্রমণের মতো অনেক রোগের চিকিৎসাতেই প্রচিলত ওষুধে এখন আর কাজ হচ্ছে না – যার কারণ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে তৈরি হওয়া এন্টিবায়োটিক-রোধী ক্ষমতা।
এই এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি?
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইন্সিষ্টিটিউটের পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, এর মধ্যেই বাংলাদেশে যক্ষা, নিউমোনিয়া এবং গণোরিয়ার মতো যৌনরোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে এন্টিবায়োটিক-রোধী ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারের ফলে প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাকটেরিয়া বাইরে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ড, রহমান বলেন, বাংলাদেশে ওষুধ বিক্রি নিয়ন্ত্রিত নয় তা ছাড়া এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যব্হার সম্পর্কে অজ্ঞতা একটি কারণ। অনেকেই রোগ ভালো হয়ে গেলেই এন্টিবায়োটিক নেয়া বন্ধ করে দেন, কোর্স শেষ করেন না। এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে প্রতিরোধ-ক্ষমতা তৈরি হয়।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব সাধারণ মানুষ, নীতিনির্ধারক এবং চিকিৎসক – সবার মধ্যেই কমবেশি রয়েছে।
“ইচ্ছামত এন্টিবায়োটিক না খাওয়া, এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে” – বলেন তিনি।-বিবিসি
(1)