খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি: নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন যোগিপোল এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর হাফিজা বেগমের পুত্র মুন্না(৩০), শাহিন (৩২) এবং মিরাজের স্ত্রী নিলা(৩৬) গুরুতর আহত হয়েছে। আহত মুন্না ও শাহিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং নিলাকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘাড়ে কোপ লাগা শাহিনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে তার পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটাই যোগিপোল ৭নং ওয়ার্ডের নাদিরা ভিলার সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই খানজাহান আলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানাগেছে, গত ১০ মে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে যোগিপোলের আব্দূল খালেকের পুত্র আছাদের দোকানে মালামাল ক্রয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় সিএনজি চালক শহিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দের সুত্রপাত হয়। এ সময় শহিনের বোন নিলা এগিয়ে আসলে আছাদসহ তার আত্মিয় স্বজনরা নিলা এবং শাহিনকে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় নিলাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃস্টি হলে গতকাল ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শহিন তার সিএনজিটি খালেকের পুত্র আছাদের দোকানের পাশে রেখে বাড়ী যাওয়ার সময় খালেকের চার পুত্র এবং তার আত্মিয়ের দুই ছেলে সহ ৬জন শাহিনের উপর হামলা চালায়। হামলায় যোগিপোল সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর হাফিজা বেগমের পুত্র মুন্না এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা চালানো হয়।
খুলনা মহানগর জাতীয় ওলামা পার্টির আহবায়ক এস এম আনিসুর রহমান বলেন, খালেকের পুত্র আছাদের দোকানের মালামাল ক্রয়কে কেন্দ্র করে পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় আব্দুল খালেক, তার পুত্র মিরাজ, সিরাজ, আছাদ, শফিক, ফারুক মিয়ার পুত্র সবুজ ও সুজন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএনজি চালক শাহিনের উপর দেশীয় অষÍ্র নিয়ে হামলা চালায়। দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা যোগিপোল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর হাফিজা খাতুনের পুত্র মুন্না এবং শাহিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এদের মধ্যে শহিনের ঘাড়ে এবং মুন্নার পিঠে ধারালো অস্ত্রের কোপ লেগেছে। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন আহতদের মধ্যে শহিনের ঘাড়ের আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় তিনি আশংকাজনক। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
(1)