খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ খুলনার বহুল আলোচিত মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ীর নিখোঁজ রহিমা বেগম অপহরণের মামলায় সন্দেহজনক আটক মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, জুয়েল, পলাশ ও হেলাল শরীফের নি.শ্বর্ত মুক্তি এবং কথিত অপহরনের নাটকের মূল পরিকল্পনাকারী রহিমা বেগম, মরিয়ম মান্নান, আদূরী আক্তারসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা খুলনা প্রেস ক্লাবে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সংম্মেন থেকে শৃংখলা বাহিনীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন করে যারা এই অপহরণ ও গুমের নাটক সাজিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবন্থা এবং নিরপরাধ ব্যক্তিদের ন্যায় বিচারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তোভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে কারাগারে থাকা মহিউদ্দিনের কন্যা মালিহা মহিউদ্দিন মাহি লিখিত বক্তব্যে বলেন, খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মহেশ^রপাশা খানাবাড়ি এলাকার বহুল আলোচিত রহিম বেগমের রহস্যজনক নিখোঁজ রহিমা বেগমের কন্যা আলোচিত মরিয়ম মান্নানের দুই পর্বের নাটক দেশব্যাপী ভালোই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মায়ের জমি হাতিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে মায়ের উপর নির্যাতন করে নিজের মা’কে সুকৌশলে বাড়ী থেকে সরিয়ে দিয়ে রহস্যজনক নিখোজের ঘটনা ঘটিয়ে সর্ব মহলে গুম ও অপহরণের একটি নাটক তেরী করে রহিমার স্বজনরা।
এর প্রথম পর্বের নিখোজের বিষয়ে প্রশাসন ও মিডিয়াকে সম্পুর্ন মিথ্যা ও বিভ্রন্তিকর তথ্য দিয়ে প্রশাসের উপর চাপ সৃষ্টি করে নিরপরাধ মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, জুয়েল, পলাশ ও হেলাল শরীফকে কারাগারে পাঠানো। র্যাব-৬ ও আইনশূংখলা বাহিনীর একাধিক টিম রহিমা বেগমের বাড়ীর চতুন পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও পারিপার্শিক পর্যালোচনা করে মামলায় মিথ্যা ভাবে সন্দেহজনক ভাবে দেওয়া কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের ডেকে নিয়ে কয়েকদফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর জড়িত থাকার কোন প্রমান না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয় কিন্তু ঘটনার ১ সপ্তাহ পর ১ টি প্রভাবশালী মহলকে ভুল বুঝিয়ে প্রশাসনের উপর চাপ সূষ্টি করে তাদের সেই নাটকের বাস্তবায়ন ঘটায়। মাহি বলেন গত ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর থেকে রহিমা বেগমের জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় প্রশাসন কিভাবে উদ্ধার করেছে যা মিডিয়ার মাধ্যমে সকলে দেখেছেন। উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে ব্যবহারের যে সকল কাপুড় চোপড়, ওষুধ ও প্রশাধনি সামগ্রী উদ্ধার করা হয় তা থেকে আইন শৃংখলা বাহিনী বলেছেন যে সে অপহরণ হতে নাও পারে।
এছাড়া রহিমা বেগম ফরিদপুর যে এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই এলাকার চেয়ারম্যানে বলেছে রহিমা ইউনিয়ন অফিসে জন্মনিবন্ধন করতে গিয়েছিলেন এর রহস্যও বের করা প্রয়োজন। রহিমা বেগম ফরিদপুরের যে বাসায় উঠেছিল সে বাড়ী থেকে রহিমার পুত্র মিরাজ হোসেন সাদিকে ফোন করা হয়েছিল কিন্তু মিরাজ এর স্ত্রী মৌ ইসলাম ফোন রিসিভ করে এ ব্যাপারে তাদের সাথে কোন কথা বলতে চাইনা। রহিমা বেগমের মা’কে তারা পাগলের মতো খুচছে অথচ সন্ধান পেয়েও কেন মিরাজের স্ত্রী বিষয়টি প্রশাসনকে জানালো না। মাহি আরো বলেন রহিমা বেগম যখন উদ্ধার হলো তখন কেন বল্লোনা তাকে কারা অপহরণ করেছিল? তিনি কেন মুখ বন্ধ রেখে রহস্যজনকভাবে চুপ ছিলেন। সকালে রহিমা বেগম পুলিশকে জানায় সে তার মেয়ে এবং তার স্বামীর সাথে দেখা করতে চান না কিন্তু যখন তার মেয়েদের সামনে আনা হলো তখন জড়িয়ে ধরে কিছু একটা বলে নতুন নাটকের পরিকল্পনা করে আদালতে পুলিশকে দেওয়া বক্তব্য থেকে রহিমা বেগম সরে আসলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মাহি আরো বলেন জানতে পারলাম রহিমা বেগম আদালতে গিয়ে যে জবানবন্দি দিয়েছে যে তাকে অপহরন করা হয়েছে এবং স্টামে স্বাক্ষর করানোর কথা বলা হয়েছে এটাও নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যিনি উদ্ধারের পর পুলিশকে জানিছিলেন সে তার মেয়েদের কাছে যেতে চায় না কিন্তু তাকে মেয়েদের কাছে পাঠানো হলো এটা মরিয়মের জন্য কতোটা নিরাপদ হলো তাও তিনি সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন। মাহি বলেন রহিমা বেগমের নিখোজের সকল ষড়যন্ত্র দিনের মতো পরিষ্কার সকলের সামনে তাছাড়াও রহিমা বেগমের স্বামী বিল্লাল হাওলাদার কোটের বারান্দায় পুলিশ হেফাজতে থেকে যে কথা বলেছে রহিমা বেগম পরিকল্পনায় তাদের কথামতো কাজ না করায় মরিয়ম মান্নান তাকেও ফাসিয়ে দিয়েছে তার এই বক্তব্যে স্পষ্ট নিখোজ ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড মরিয়ম ও তার পরিবার। তাই নতুন করে ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকার আগেই রহিমা বেগম, মরিয়ম মান্নান, আদুরী আক্তারসহ জড়িতদেরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি রহিমা বেগম অপহরন মামলায় কারাগারে থাকা নির্দোষ মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, জুয়েল, পলাশ ও হেলাল শরীফের দ্রুতমুক্তির দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজন ও এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় এই মামলায় সন্দেহজনক আটক মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, জুয়েল, পলাশ ও হেলাল শরীফের নি.শ্বর্ত মুক্তি এবং কথিত অপহরনের নাটকের মূল পরিকল্পনাকারী রহিমা বেগম, মরিয়ম মান্নান, আদূরী আক্তারসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ফুলবাড়ীগেটে মানববন্ধন পালন করবেন এলাকাবাসী।
(31)