পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার জানান, কী উদ্দেশ্যে শিশুদের এখানে জড়ো করা হয়েছিলো তা এখনও নিশ্চিত নন তারা। তবে আটককৃতরা নিজেদের ‘অদম্য বাংলাদেশ’ নামে একটি এনজিও’র সদস্য বলে দাবি করেছে বলেও জানান তিনি।
বনশ্রী এলাকার একটি আবাসিক ভবনের ছয় তলায় আটক রয়েছে বেশ কয়েকজন শিশু -এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন বয়সী দশ শিশুকে। বাড়িটি থেকে এক নারীসহ চারজনকে আটক করে নিয়ে রামপুরা থানায় যাওয়া হয়। খবর পেয়ে মোবারক হোসেন নামে এক শিশুর চাচা থানায় এসে ভাতিজাকে শনাক্ত করেন। তিনি জানান, গোড়ানের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো মোবারক। সেখান থেকে মাস ছয়েক আগে নিখোঁজ হয় সে।
মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের এনজিও কর্মী বলে দাবি করলেও, এ সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। এমনকি একসঙ্গে এতগুলো শিশুকে বাড়িটিতে রাখার ব্যাপারেও থানার সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।’
এদিকে, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যে ফ্ল্যাট থেকে শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি তালাবন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানান, ফ্ল্যাটটি বেশিরভাগ সময় বাইরে থেকে বন্ধ থাকতো। এছাড়া বাসার লোকজন আশপাশের কারও সঙ্গে মিশতোও না।
ঘটনার পর থেকেই বাসার দারোয়ান ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
(3)