খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ গত দুইদিন বৃষ্টিপাতে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধিন তেলিগাতী, বুচিতলা, রাজ্জাকের মোড়, মহেশ্বরপাশা পালপাড়া, কান্দর, জিকোর মোড়, ল্যাবরেটরি মোড়ের ঢালীপাড়া এলাকাসহ কুয়েট কর্মচারীদের আবাসিকের তিনটি ভবন, খুলনা শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। এছাড়া এইচএসটিটিআই, শেখ হাসিনা আইসিটি ভবন, খানাবাড়ী পুরাতন টিটিসি রোড, মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিকপাড়া রোডসহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্ধি এলাকার রাস্তা-ঘাট ছাপিয়ে মানুষের ঘরে মধ্যে ময়লা দূর্গন্ধ পানি প্রবেশ করায় চরম দূভোগে পড়েছে তারা। দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে মহশ্বেরপাশা উত্তর বনিকপাড়া, পালপাড়া, খানাবাড়ী পুরাতন টিটিসি রোড, তেলিগাতী বুচিতলা, বুচিতলা রাজ্জাকের মোড়, ল্যাবরেটরি মোড়ের ঢালীপাড়া, কান্দরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে বাসা বাড়ীতে। এ মধ্যে ল্যাবরেটরি ঢালীপাড়া ও সাতক্ষিরা পট্টি এলাকার ৪০/৫০টি পরিবারের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। তেলিগাতী বুচিতলা, রাজ্জাকের মোড় ও পালপাড়া এলাকার ৭০/৮০টি পরিবার বসবাস করছে পানির মধ্যে। মহেশ্বরপাশা কান্দর ও ঢালীপাড়ার প্রায় ৩০/৪০টি পরিবার পানিবন্ধি অবস্থায় বসবাস করছে।
কুয়েট কর্মচারীদের আবাসিকের তিনটি ভবনের প্রায় অর্ধশত পরিবার হাটু পানি পার হয়ে বাহিরে যেতে হচ্ছে। এছাড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, মহিলা করিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের আবাসিকের প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। সকল অঞ্চলের অনেক বাড়ীর নিচতলায় পানি প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়তে দেখাগেছে। এ সকল অঞ্চলের প্রায় তিনশত পরিবারের প্রায় ৫হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
স্থানিয় জনপ্রতিনিধি জিএম এনামুল কবির বলেন, বৃহত্তর এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি এক প্রকার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ চরম দূর্ভাগের মধ্যে আছে। প্রায় ৪/৫টি অঞ্চলের প্রায় ৫হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। দ্রুত সুষ্ট ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবন্থা করা না হলে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে জলাবন্ধতার কবলে পড়তে হবে।
(4)