ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চূড়ান্ত চুক্তি। এরই মধ্যে চুক্তি করতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু প্রতিষ্ঠান-রোসাটমের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ঢাকা সফর করে। ঐ সফরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সাথে বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের খরচ কতো হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া ওই প্রতিনিধিদল কয়েক দফা বৈঠক করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ও রূপপুর প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথেও।
বিজ্ঞান মন্ত্রী বলছেন, রূপপুর প্রকল্পের মূল চুক্তির বেশ কিছু বিষয় নিয়ে একমত হয়েছেন উভয়পক্ষ। আর সেই চুক্তি স্বাক্ষর হবে বিজয়ের মাসেই। যদিও তা হবার কথা ছিল চলতি মাসেই।
সাড়ে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প হতে যাচ্ছে রূপপুর, গত মঙ্গলবার এমন আভাস দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। অবশ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রস্তাব হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারের। রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ণকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, টাকা কমাতে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দর কষাকষি করবে তারা।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক চুল্লী স্থাপন ও পরিচালনা কর্তৃপক্ষ এনপিপিসিবিএল বলছে, চুল্লী স্থাপনের আগের সব কাজ প্রায় শেষ।
২০১১ সালে, পারমাণবিক শক্তিকে শান্তিপূর্ন কাজে ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ। যার আওতায় ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দুটি পারমাণবিক চুল্লী নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাক প্রস্তুতি কাজ প্রায় শেষ করেছে বাংলাদেশ।
(2)