রূপসা প্রতিনিধি : রূপসায় জমি ক্রয় করে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ৫ পরিবার। আদালতে বিচারাধীন জমি নিয়ে মালিক পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই ৫পরিবারের বসত বাড়ির গাছ-পালা কেটে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্র ইট ভাটার শ্রমিক ইবাদ শেখ, রাজু শেখ, পারভেজ শেখ, আবুল সরদার ও মোস্তফা মুন্সি ২০০৫ সালে ডোমরা গ্রামের জাহাঙ্গীরের নিকট হতে বাকচন্দনশ্রী মৌজার বিলান জমি ক্রয় করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে শান্তিপুর্নভাবে বসবাস করে আসছে। স¤প্রতি ডোমরা গ্রামের আফসার শেখের পুত্র ফরিদ গং উক্ত জমির মালিকানা দাবি করে হতদরিদ্র ইটভাটা শ্রমিকদের দীর্ঘদিন ধরে রোপনকৃত বিভিন্ন বনজ ও ফলদ গাছ কেটে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। সেইসাথে ৩ দিনের মধ্যে বাড়ি খালি করার হুমকি দেয়। এঘটনায় অসহায় ৫ পরিবার তাদের সহায় সম্বল রক্ষার জন্য প্রভাবশালিদের দ্বারে দ্বারে কান্নাকাটি করেও কোন ফল পাচ্ছেনা। এদিকে একটি মহল জমি দখলের ঘটনা থানা পুলিশকে জানালে হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে জমির বর্তমান এসএ এবং আরএস রিকর্ডীয় মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, উক্ত জমি আমার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত। আমার পিতার নামে এসএ এবং আরএস রেকর্ড রয়েছে। আমাদের অজ্ঞতাসারে ফরিদ গংরা মামলা করে একতরফা রায় নিয়ে এসেছে। যা আমাদের কোন শরীককে অবগত করা হয়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত ট্রাইব্যুনালে আমি আপিল করেছি। আমার আপিল আদালতে মঞ্জুর হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিভাবে আদালতকে অবজ্ঞা করে জমি দখল করে এবং গাছপালা কেটে হতদরিদ্র পরিবারের ক্ষতি সাধন করে তা আমার বোধগোম্য নহে।
এলাকাবাসি জানায় ডোমরা গ্রামের আঃ জব্বার শেখের পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর গংদের সাথে একই গ্রামের আফসার শেখের পুত্র ফরিদ গংদের বাকচন্দনশ্রী মৌজার ২.১৬ একর জমি নিয়ে খুলনা জেলার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমান রয়েছে। যার রেকর্ডিয় মলিক জাহাঙ্গীরের পিতা। ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগদখল করে আসছে।
(2)