রুপসা খেয়াঘাটে যাত্রী হয়রানী সকল সীমা ছাড়িয়েছে। সোমবার দুপুরে রুপসা খেয়াঘাটে ছদ্মবেশী দু’জনকে দুটি ছোট বাক্স রেপিং পেপারে মুরিয়ে পাঠানো হয়। ঘাটের ভাড়া এক টাকা।
তাদের সাথে একইভাবে খারাপ ব্যবহার করে, জোর করে চাঁদা নেয় বিশ টাকা করে। উপস্থিত আরেক যাত্রী জানায় একটি প্রেসার কুকার নেয়ার জন্য ত্রিশ টাকা চাঁদা দিতে হয় তাকে। যাত্রীদের হাতে সামান্য কোন ব্যাগ, পার্শেল, উপহারের বাক্স, কার্টুন থাকলেই অতিরিক্ত টাকা দাবি করে, কেউ দিতে অপারগতা করলে শারিরীক লাঞ্চনা করতেও ছাড়ে না তারা।
প্রতিটি ট্রলারে ৩০ জন যাত্রী ধারণ করার নিয়ম থাকলেও ৪০থেকে পঞ্চাশজন যাত্রী পারাপার করে থাকে। এর ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন আনুমানিক ২০ হাজারের মত যাত্রী আসা যাওয়া করে এই ঘাটে। অনেক যাত্রীর নিকট থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছে।
গত কয়েক মাস ভুক্তভোগীরা অনেকগুলো অভিযোগ করে। গতকাল হাতেনাতে অপরাধ প্রমানীত হওয়ায় ঘাট ম্যানেজার সাইফুল ইসলামকে প্রতি যাত্রীর নিকট থেকে ১টাকা সেবা মূল্যের বিপরীতে জোর করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় রূপসা এলাকার ফল ব্যবসায়ী আবুল কালামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
নগরীর ফুলবাড়িগেটের মীরেরডাঙ্গা সোনালী কেডিএ আবাসিকে লতিফ ফুড প্রডাক্টস নামক সেমাই কারখানাটি বিএসটিআই এর নকল লোগো ব্যবহার করে পাঁচটি বিভিন্ন নামে সেমাই প্যাকেট করে বাজারজাত করছে। চিটাগাং লাচ্ছা সেমাই, ডায়মন্ড, সুন্দরবন, ফাইন ও মক্কা সেমাই পাচঁটি নামে সেমাই বাজারজাত করে আসছে।
প্যাকেটগুলো দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু সেমাই তৈরিতে মানা হয়না কোন নিয়ম। কারখানার পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর, পাশেই অবস্থিত একটি ডোবা। পুরো কারখানাটি ময়লাবৃত। আমাদের ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই সেমাই কারখানার মালিক তার কারখানার মধ্যে গোপনে কাউকে প্রবেশ করতে দিত না। তিনি তার কারখানায় নিন্মমানের সেমাই প্রস্তুত করে উত্তোরাঞ্চালের একটি সুনামধণ্য কারখানার প্যাকেট ও লেবেল লাগিয়ে নকল সেমাই তৈরীর অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এ সকল অপরাধে কারখানা মালিক আবু তাহেরকে ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসন খুলনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। অভিযানে ছিলেন কেসিসি’র সিনিয়র ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মোঃ রেজাউল করিম, ভেটেরিনারী সার্জন ডা. পেরু গোপাল বিশ্বাস, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আকমল হোসেন, সেলিম রেজা, নবজিৎ বাইন, জিল্লুর রহমান সহ বিএসটিআই প্রতিনিধি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য।
-খলিলুর রহমান সমুন, খুলনা
(9)