আসাদুজ্জামান সরদার, সাতক্ষীরা: এটি কোন কোন রঙিন মাছের এ্যাকুরিয়াম নয়। নয় কোন মাছের চৌবাচ্চা। আপনি চা অথবা চান্ডা কপি খাচ্ছেন অথবা চিকেন কিম্বা চাইনিজ খাবারের কোন ম্যানু বেছে নিয়েছেন। খেতে খেতে অনুভব করলাম পায়ের পাতায় কে যেন চিমটি কাটল। নীচে তাকাতেই দেখি পা ছেড়ে পালিয়ে গেল কই কাপ, গাপ্পি, গোল্ড ফিস অথবা কমিডবার্ড জাতীয় যে কোন রঙিন মাছ।
এটি এটি ইন্দোনিশিয়া, সিঙ্গাপুর অথবা উন্নত বিশ্বের কোন দেশে নয় এই অনুভূতি নিতে পারবেন সাতক্ষীরা শহরতলির বকচরা বাইপাস সড়কের মৌবন রেস্টুরেন্টে। এই রেস্টুরেন্টে খেতে এসে চক্ষু ছানাবড়া হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের।
কারণ, পানির মধ্যেই পাতা রয়েছে চেয়ার-টেবিল। আর গোড়ালি ডোবা পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট বিভিন্ন রঙের মাছ। বিশেষ করে শিশুরা অভিভাবকদের সাথে খেতে এসে অনেকটা সময় রঙিন মাছের সাথে সময় কাটিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র শিশুরা নয় বড়দের হচ্ছে অনন্য অভিজ্ঞতা। খেতে পায়ে মাছের কামড় খেয়ে একটি ভয় পেয়ে কেকিয়ে উঠছেন অনেকে।
আবার পা দিয়ে খেলাও করছেন পানির মধ্যে থাকা সেই মাছের সঙ্গে। সেসব অভিজ্ঞতার বর্ণনা ও ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করছেন। এমনিভাবে মাত্র একদিনে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে রেস্টুরেন্টনি।
মৌবন রেস্টুরেন্ট মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইউটিউবের ভিডিও দেখে এই আইডিয়া তার মাথায় আছে। এই রেস্টুরেন্ট চালু করেছে ঈদুল আযহার মাত্র দুই দিন আগে। কিন্তু ব্যতিক্রম বিষয়ের কারণে অনেকে ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর থেকে ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এখানে চা কপিসহ চাইনিজ বিভিন্ন খাবারের ম্যানুর পাশাপাশি পানিতে মাছের সাথে আনন্দ উপভোগ করছেন। প্রতিদিন বেশ ভালো বেচা বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন বলেন, ঢাকায় অনেক রেস্টুরেন্ট খেয়েছি। কিন্তু এই রকম ব্যতিক্রমী বিষয় আমার চোখে পড়েনি। সাতক্ষীরায় আমার বাড়ি পাশে এই ব্যতিক্রম একটি রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে সত্যি আমি অবাক হয়েছে। পানির মধ্যে পা ডুবিয়ে চা- কপি অথবা চাইনিজ খাবার খাচ্ছি। পায়ের পাশে বিভিন্ন রঙিন মাছ ঘোরাঘুরি করছে।
খেতে খেতে কখনও অনুভব করছি পায়ের পাতায় কে যেন চিমটি কাটল। নীচে তাকাতেই দেখি পা ছেড়ে পালিয়ে গেল রঙিন মাছটা। অসাধারণ অভিজ্ঞতা হলো এভাবে খাবার খেয়ে। এখানে এসে অনেক ভালো লেগেছে।
দলিত ভয়েস//হাবিবা
(21)