এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। আর এ অনুভূতি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে বের করা হচ্ছে লেপ-তোশক। গ্রামের রেওয়াজ অনুযায়ী নতুন মেয়ের জামাই বাড়িতে লেপ-তোশক পাঠাচ্ছে শ্বশুর-শাশুড়িরা। গ্রামের রীতিনীতি অনুযায়ী নতুন মেয়ের জামাই বাড়িতে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনী থেকে শুরু করে সব ধরণের দ্রব্যাদি দেয়ার প্রচলন আছে।
এদিকে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব’র সামনে লেপ-তোশক তৈরির ধুনকরা বস্ত হয়ে পড়েছেন পুরোদমেই। তাদের সময় যেন মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ধুনকর কারিগর আবু তালেব জানান, এক সপ্তাহ থেকে প্রতিদনই প্রায় ৫ থেকে ১০টি লেপ অর্ডার পাচ্ছি। এছাড়া আশা করছি আগামী মাসের শুরুতেই প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি অর্ডার পাবো। প্রতিটি লেপ দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। আর এ লেপ তৈরি করতে ৫ কেজি তুলার প্রয়োজন হয়।
কারিগর মন্টু মিয়া জানান, আমরা শীত আসার শুরুতেই লেপ তোশক মোটামুটি অর্ডার পাচ্ছি পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ-তোশক বানিয়ে রাখছি। সাধারণত অনেক ক্রেতা তৈরিকৃত লেপ-তোশক কিনে।
তিনি আরও জানান, এবার তুলার দাম একটু বেশি হওয়ার কারণে বড় লেপের দাম গত বছরের চেয়ে ১৫০ টাকা হতে ২০০ টাকা বেশি লাগছে। আবার সিঙ্গেল লেপ এ বেড়েছে ১০০ টাকার মত। পাশাপাশি কারিগরদের মুজুরিও এবার একটু বেশি।
শুক্রবার বিকালে লেপ তৈরি করতে আসা আলীম উদ্দিন জানান, মাস ছয়েক আগে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। তাই মেয়ে-জামাইকে লেপ দেয়ার জন্য এখানে নিতে এসেছি।
(4)