পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন এখন শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, জাতি সংঘ কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এখন বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে চূড়ান্ত মুক্তির জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। যার ফলে ৯ মাসের শসস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতি চূড়ান্ত স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতারপর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে যে থমকে দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাড়িয়েছে। এখন দেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। মানুষের মাথা পিছু আয় এবং গড় আয়ু বেড়েছে। এমপি বাবু বলেন, ইতোমধ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর সন্ধীক্ষণে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন শীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে সেখান থেকে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক দিবে সবাইকে তার পক্ষে কাজ করে নৌকা প্রতীকের সকল প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন না করলে আমি আজ এমপি হতে পারতাম না। এ জন্য যে দলের নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি এমপি হয়েছি সেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চায়। এ জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে দলের নিজস্ব অফিস করা হবে। নবীন-প্রবীন নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে সংগঠনের ভিতকে মজবুত করতে চায়। এ জন্য ছাত্র, যুবলীগ সহ সংগঠনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে কেউ অবস্থান নিলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের তরুণ এ এমপি।
তিনি রোববার দুপুরে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুষ্ঠান ও দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগনেতা সমীরণ সাধু ও আনন্দ মোহন বিশ্বাস সহ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
(18)