এ ঘটনায় মহর আলী বিশ্বাস শৈলকুপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাঝদিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করে ওই গ্রামের বুদোয় মন্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলী বিশ্বাস। নির্বাচনে মহর আলী বিশ্বাস তার পক্ষে নির্বাচনও করে। নির্বাচনে মুন্তাজ আলী বিশ্বাস পরাজিত হয়।
এর কিছুদিন পর গ্রাম্য শালিস ডেকে নির্বাচনে ভোট না চাওয়ার অপরাধে মহর আলী বিশ্বাসকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে। এ টাকা না দিলে মারধর, গাছপালা, ফসল কেটে নেওয়ার হুমকি দেয় মুন্তাজ আলী বিশ্বাস।
বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে মহর আলী বিশ্বাস জানালেও কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মহর আলী বিশ্বাস বলেন, শেষ ধাপের নির্বাচনে মুন্তাজ বিশ্বাস মোরগ মার্কা প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নেয়। তার সাথে আমি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোটও চেয়েছি।
কিন্তু ভোটে হেরে যাওয়ার পর তিনি স্থানীয় কয়েকজকে সাথে নিয়ে আমার কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করছেন। তার ভয়ে আমি বাড়ীতে থাকতে পারছি না। যেকোন সময় আমার ক্ষতি করতে পারে তারা।
তিনি আরো জানান, মুন্তাজ আলী বিশ্বাস, আনছার আলী মন্ডল, মিলন হোসেন, সোহরাব হোসেন, আবু দাউদ, মজিবর রহমানকে সাথে নিয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবী করছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পরাজিত মেম্বর মুন্তাজ আলী বিশ্বাস বলেন, আমি তো তার কাছে চাঁদা চাইনি, জরিমানা করেছি। মাতব্বররা শালিস করে যা রায় দিয়েছে তাই তার কাছে সেই পরিমান টাকা চাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে কে কার ভোট করলো, আর তার জন্য জরিমানা করার কোন প্রশ্নই আসে না।
যে অভিযোগটা পেয়েছি তা লাঙ্গলবাধ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মখলেছুর রহমানের উপর তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধান না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।
-জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ
(7)