শ্যামনগর নওয়াবেঁকী গণ প্রগতি এনজিওর বিরুদ্ধে গ্রহকদের সঞ্চয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে অফিসে তালা মেরে রাতের আধারে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগি গ্রহকরা টাকা ফিরে পেতে প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে না পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ করেছে। ভুক্তভোগি আশাশুনি উপজেলার নাকনা গ্রামের কাজী মাছিউদ্দীনের স্ত্রী আলিমন বেগম, আরিফুর রহমানের স্ত্রী আমিরুন্নেছা, কাজী রাহউদ্দীনের স্ত্রী রিজিয়া পারভীন, হামিদ পাড়ের স্ত্রী রাবেয়া মিনা, শেখ মুস্তাফিজের স্ত্রী নিলুফার রহমান একই গ্রামের শাকুরা বেগম ও আজুহার রহমান জানায়, ২০০৫ সালে নওয়াবেঁকী গণ প্রগতি (রেজি নং-২৭০/৯৯) নামে এক এনজিও তালতলা বাজারে আবজালুর রহমান টুটুলের নেতৃত্বে একটি অফিস নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এলাকার গরীব অসহায় মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে সদস্য তৈরী করে সঞ্চয় জমা ও ঋণ দিতে শুরু করে তারা । এসময় এলাকার মানুয়ের কাছে বিশ্বস্থতা অর্জন করতে সক্ষম হয় । শুরু হয় সঞ্চয় জমা ও ঋণ নেওয়ার হিড়িক। এসুযোগে গত ৫/৬ মাস আগে অফিসে তালা মেরে আবজালুর রহমান টুটুল, ক্যাশিয়ার আছাদ সহ সকল কর্মী রাতের আধারে পালিয়ে যায়। তারা আরো জানায়, সকালে পালিয়ে চলে যাওয়ার খবর জানাজানি হলে সকল গ্রাহক একত্রিত হয়ে হেড অফিস শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী গিয়ে পরিচালকের কাছে জানালেও কোন লাভ হয়নি। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, তালতলা বাজার থেকে গণ প্রগতি নামে এক এনজিও আমার এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে অফিসে তালা মেরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আমি পেয়েছি। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তালতলা অফিসে দায়িত্ব থাকা ক্যাশিয়ার আহাদ আলী জানান, গণ প্রগতির পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংকে ঋণ চেয়ে আবেদন করেছে। টাকা পেলে অফিস খুলে সঞ্চয়ের টাকা ফিরে দেওয়া হবে।
তবে গণ প্রগতির পরিচালক মো: হাবিবুর রহমান সানার কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ০১৭১২-৬৩১১০০,০১৯৭২-৬৩১১০০ ও ০১৯২৭-৩৬৭৬২১ ব্যবহারিত নম্বর বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।