গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে আরো গতিশীলতা আনা এ প্রবৃদ্ধি অন্যতম কৌশল হিসেবে কাজ করবে। পরিকল্পনা কমিশনের সভাকক্ষে চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের প্রথম বৈঠক।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে মূলধন ও শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, রপ্তানীমূখী বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি এবং টেকশই ও জলবায়ু সহিষ্ণু ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়া লক্ষ্যকে সামনে রেখে অনুমিোদন দেয়া হলো ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। যাতে গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষমাত্রা ঠিক করা হয় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে গবেষণা খাতকে। দেশের মানুষের মেধা ও শ্রম সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী। তার আশা, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে জিডিপির ৩৪ দশমিক ৪ ভাগে।
একইসাথে রপ্তানী আয় ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার। বাংলাদেশের বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ, মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন নেই। বিশ্বব্যাংকের করা এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেন মন্ত্রী। আগামী ৫ বছরে দেশে ও দেশের বাইরে আরো ১ কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।
(2)