সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় ৮ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পাকা পিলার দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে হাজী আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। এবারে ভুক্তিযোগীদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের পৌরসভার মুন্সিপাড়া ক্লাবের বিপরীতে সড়কের মাথায় স্ব স্ব জমি দানে নির্মিত ৮ পরিবারের চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তায় পৌরসভা থেকে তিনবার ইটের ব্যাটস বসানো হয়। গত ৪০ বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে দিয়ে চলা চল করে ৮ পরিবারে ৩০ জন মানুষ। ২০০১ সালে চৎকালীন চেয়ারম্যান ও কমিশনার ও স্থানীয় গন্যমন্যব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিস নামার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় রাস্তার জন্য ভুক্তিযোগীদের স্ব স্ব জমি ছেড়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দা হাজী আতিয়ার রহমান গাজী সকল নিয়ম নীতি উপক্ষো করে বন্ধের পায়তারা করছে এবং চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে রাস্তায় ময়লা আবর্জনা, গাছ, পাথর ও গাছের ডালপাল ফেলছে। ইতোমধ্যে রাস্তায় প্রাচীর দিতে রাতারাতি পাকা পিলার স্থাপন করেছে।
স্থানীয় আজমল হোসেন বলেন, স্ব স্ব জমি দানে রাস্তা নির্মিত ৮ পরিবারের ৩০ জন মানুষের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা আজ বন্ধের পায়তারা করছে স্থানীয় হাজী আতিয়ার রহমান। পৌরসভা থেকে তিন বার ইট বসানো হয়েছে। সেই রাস্তা বন্ধ করতে ইতোমধ্যে পাকা পিলার বসানো হয়েছে। রাস্তা দিয়ে কেউ যেন চলাচল না করতে পারে সেজন্য ময়লা আবর্জনা পেলে পথচারীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এই রাস্তা বন্ধ করে দিলে আমাদের কোন চলাচলের পথ নেই। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এব্যাপারে হাজী আতিয়ার রহমান বলেন, এই জমি আমার রের্কডীয় সম্পত্তি। ১৯৮৬ সালে ক্রয় করেছি। সকলের চলাচলের জন্য আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম কিন্ত তারা এখন ৮ফুটের রাস্তা করতে চাচ্ছেন। সেটাতো আমার পক্ষে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব না। পৌরসভা থেকে অনুমতি নেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী আমি পাকা পিলার বসিয়ে প্রাচীর দিচ্ছি। আমি কারো চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছি না।
সাতক্ষীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুর বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
(13)