অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি (এমপি) বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার(ওয়ারপো) পরিচালক এস,এম ফিরোজ আলম, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী কে,এম আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার প্রকল্প পরিচালক প্রৌকশলী মো: রেজাউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আব্দুল শাদীসহ আশাশুনি, দেবহাটা, শ্যামনগর. কালিগজ্ঞ ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন তালাসহ কয়েকটি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন চেয়ারম্যানবৃন্দ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, দৈনিক প্রথম আলোর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জী, দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি সুভাস চৌধুরী, দৈনিক কালের চিত্রের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো:আশরাফুল ইসলাম সহ সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে পানি বিধিতে আপডেট করার লক্ষ্যে সুপ্রেয় পানি, লবনাক্ততা, জলাবদ্ধতা এবং ভু-গর্ভস্থ পানির নিয়ন্ত্রণ এই ৪টি বিষয়ের উপর অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে দলীয় কাজের মাধ্যমে মতামত সংগ্রহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন জলাবদ্ধতা সাতক্ষীরা জেলার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এ ঝুঁকি আজকের না অনেকদিন যাবৎ সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা হয়ে চিহ্নিত রয়েছে। সাতক্ষীরাকে সুন্দররুপে গঠন করতে হলে সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রাণ সায়ের খালসহ সকল খালকে পূনরুদ্ধার করার কোন বিকল্প নেই। নদী খনন, নদী ভাঙ্গণ রোধ, টেকসইওয়াপদা ভেড়ীবাধ নির্মান, স্থায়ী মজবুত স্লুইজ গেট নির্মান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা জরুরি। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলায় এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে তারমধ্যে সাতক্ষীরাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ প্রবণ এলাকা এই এলাকার উপর দিয়ে নানা ধরনের জলস্বাসসহ মারাত্মক ঘুর্ণিঘড়ের প্রকোপ রয়েছে। লবণাক্ত এলাকা হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে রবি শষ্যের অনেক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তেব্যে জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ বলেন, ওয়াপদা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় সুনাম কুড়ালেও সাতক্ষীরার জন্য সেটা অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে, সাতক্ষীরার নদী দিয়ে আগে বড় বড় জাহাজ আসতো সেখানে এখন ফুটবল খেলার মাঠে পরিনত হয়েছে। ওয়াপদা অফিসের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে যেটা কারও কাম্য নয় । তিনি আরও বলেন সাতক্ষীরার কোন নদীতে কোন জোয়ার নাই, নেই কোন পানির প্রবাহ। শুধু হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নদী খনন করলেই হবেনা নদীর গোড়া থেকে কাজকে এগিয়ে নিতে হবে, তানাহলে সমস্যা সমস্যই থেকে যাবে। প্রধান অতিথি বলেন, সাতক্ষীরা মানুষ পানিবন্ধী, চিরকাল জলাবদ্ধতায় তাদের বসবাস অথচ খাবার পানির ব্যপক সংকট রয়েছে। লোনা পানি হওয়ার ফলে এখানে তেমন কোন সব্জি চাষ হয়না। এজন্য অন্য জেলা থেকে আমদানী করতে হয়, তবে চিংড়ী চাষে সাতক্ষীরার অনেক সুনাম রয়েছে। যেটাকে হোয়াইট গোল্ড বলা হয়। তাই সাতক্ষীরায় জরুরী ভিত্তিতে লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা দূর করা, ভূ-গর্ভস্থ পানির নিয়ন্ত্রণ করাসহ সুপেয় পানি বা মিষ্টি পানির ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সরকারসহ এনজিওদের উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসার আহবান করেন।
নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরা
(24)