অত্র এলাকায় চেয়ারম্যান ডালিম বর্তমানে জনমনে একটি ত্রাসের রুপ নিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই মানবতাবিরোধী কুক্ষাৎ রাজাকারপুত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্ম ছেলে ও বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এলাকার ধনীদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখায়। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দিয়ে সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষদেরকে হয়রানি করে। তার এ কাজের সহায়তা করে স্থানীয় থানা পুলিশ। সুকৌশলি সন্ত্রাসী ক্যাডার চেয়ারম্যান ডালিম স্থানীয় থানা পুলিশ সহ উর্দ্ধতন প্রশাসন কে বিশেষ কায়দায় ম্যনেজ করে চলে বলে এই সুকৌশলির নামে কোন সাধারন ডায়েরি বা মামলা গ্রহণ করে না। এই সুযোগ ধরে এই অত্যাচারীর দল এলাকার শান্তিপ্রিয় মানষের উপর চালাচ্ছে শোষণ, নির্যাতন, অত্যাচারের স্টীম রোলার।
কিছু দিন আগে আমার ছোট ভাই মো: কামাল হাসান মিলন খুলনা থেকে মটর সাইকেল যোগে বাড়ীতে যাওয়ার পথে স্থানীয় খাজরা বাজারে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী ডালিম সহ তার সন্ত্রাসী ক্যাডাররা মিলন ও আমার ফুফাতো ভাই দেলোয়ারকে প্রকাশ্য দিবালকে দেশীয় অস্ত্র হাকিয়ে তাড়া করে। প্রাণের ভয়ে আমার ছোট ভাই মিলন ও আমার ফুফাতো ভাই দেলোয়ার সদ্য ক্রয়কৃত পালসার মটর সাইকেল ফেলে প্রাণের ভয়ে দৌড়ে পালায়। এমতাবস্তায় চেয়্যারমান ডালিম ওদেরকে ধোরতে না পেরে আমার ভাইয়ের মটর সাইকেলটি আশাশুনি থানায় দিয়ে দেয়। আবহওয়া ঠান্ডা হলে আমরা মাটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্রাদী নিয়ে আশাশুনি থানার ওসির কাছে গেলে তিনি মটরসাইকেল না দিয়ে বলেন, মিলনকে এলাকায় ফিরিয়ে আনলে আমি মটরসাইকেল দিব তা না হলে দেব না। আমরা কিছু বলতে গেলে তিনি বলেন প্রয়োজনে আপনারা এসপি/ মিনিস্টারের কাছে যান। নিরোপায় হয়ে আমরা সেখান থেকে ফিরে আসি।
গত শুক্রবার ১১ সেপ্টেম্বর’১৫দিবাগত রাত ৮টার দিকে আমার হজ্বগামী বাবা-মাকে আমাদের নিকট আত্মীয়দের নিয়ে স্থানীয় লঞ্চঘাটে পৌঁছেদিতে যাই। রাত সাড়ে আটটার পর সকলে মিলে বাড়ী ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিত চেয়্যারমান ডালিমের স্বস্বস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাডার আনারুল (৩২), সাইফুল (৩৫), রিফিয়ান (২৮), সাইদ (৩০), ডাবলু (৩২) সহ অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জন পথে আটকে দাড়ায়। আনারুল এবং সাইফুল সামনে এসে বলে, তোর বাপ-মা হজ্বে যাচ্ছে, তোর একভাই পরিবহন ব্যবসায়ী, তোদের অনেক টাকা আছে। এলাকার উন্নয়নে তিন দিনের মধ্যে ৫০,০০০০০/= (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা দিবি। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের পরিবারের নারী-শিশু সহ সকলের উপর মারপিট শুরু করে। আমাদের আত্মচিৎকারে এলাকার লোক ছুটে আসলে আরো সন্ত্রাসী ক্যাডাররা চলে এসে তাদেরকে প্রতিহত করে। অন্ধকারে আমরা অনেকে পালাতে সক্ষম হলেও আমার অসুস্থ সেঁজো কাকা তছমাইল হোসেন সরদার (৭০), দুলাভাই মো: সিরাজুল ইসলাম মোড়ল (৫০), হাফেজ মাওলানা মো: আজগর হোসেন গাজী (পেশ ইমাম মৌখালী জামে মসজিদ)(৫২) এবং আমার ছোট ভাই মনজুরুল ইসলাম (২৫) কে ধোরে পাশে ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থানরত চেয়্যারমান ডালিম সহ উর্দ্ধতন ক্যাডারদের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থানা পুলিশের সম্মুখে বেপরোয়া মারপিট করে। একপর্যায়ে চারটি রামদা দিয়ে পুলিশ থানায় নিয়ে ডাকাতির মামলা রেকর্ড করে। পরে পুলিশী হেফাজতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
ঐ রাতেই চেয়্যারমান ডালিমসহ স্বস্বস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাডারা আমাদের বাড়ীতে হামলা করে। প্রথমে আমাকে খোঁজ করতে থাকে। আমাকে না পেয়ে আমার বসতীঘর, আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যবসায়ের নগদ অর্থ, স্বার্ণালংকার ও মূলবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। বাড়ীতে কোন পুরুষ না পেয়ে নারী ও শিশুদের মারপিট করে। পর্দাশীলনারীদের শ্লীলতাহানি করে। সন্ত্রাসী রিফিয়ান আমার ৭ বছরের ছেলেকে ধোরে দা দিয়ে জবাই করতে যায় এবং চেয়্যারমান ডালিম হাত-মুখ চেপে ধোরে রাখে। তখন আমার ছোট কাকী রিফিয়ানের পা জড়িয়ে ধরে ছাড়িয়ে নিলে চেয়্যারমান ডালিম বলে আমার সাথে পাল্লাদিস তোদের বংশ নির্বংশ করে ফেলবো। আমার হাত অনেক লম্বা আমাকে যদি ৫০,০০০০০/= (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা না দিস তাহলে আমার মাকে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা) বলে তোদের সব পুরুষদের ক্রস ফায়ারে দেব। পরে পাশবর্তী বাজারে আমার ছোট ভাই মনজুরুলের স্টেশনারী ও কসমেটিকসের দোকান ভাংচুর করে লুটপাট করে। আমরা আগানে বাগানে পালিয়ে থেকে রাত পোহাবার আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আসি।
বাড়ীতে কোন পুরুষ না থাকায় ১১ সেপ্টেম্বর’১৫দিবাগত রাতে আমার হজ্বগামী বাবার মৎস্য ঘের ও আমাদের ধানের গোলা লুট করে নিয়ে যায় ঐ অত্যাচারী চতুর চেয়্যারমান ডালিম।
এই সকল অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরতে আপনাদেরকে তাই হাতে নিতে হয়েছে কলম আর কাগজ।
আমরা শান্তিপ্রিয় গ্রামের মানুষ। কিন্তু আজ আমরা বাধ্য হয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য রাস্তায় নামতে এবং মানবতার চিরায়ত দরবার তথা আপনাদের এই সুসংগঠিত মিডিয়া মঞ্চে আসতে। আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের সংগ্রামী কলম আমাদেরকে মানবতাবিরোধী কুক্ষাৎ রাজাকার প্রেতাত্তাদের এই বর্বরোচিত হামলা, চাঁদাবাজী, নারীদের শ্লীলতাহানী ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুবিচার বয়ে নিয়ে আসবে এবং একান্ত সহযোগীতা করবে দেশরতœ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ।
(3)