বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দ্রুত উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এজন্যে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে এসএমই ঋণ বিতরণে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষে ২০২১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে ‘রূপকল্প’ হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক সকল কৌশলগত নীতি গ্রহণ করছে।
এসময় আতিউর রহমান বলেন, সুবিধাবঞ্চিত চারটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষ যেমন তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তা, প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তা, সুবিধাবঞ্চিত উদ্যোক্তা ও রাখাইনসহ সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উদ্যোক্তাদের এসএমই ঋণ প্রদান করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি। শুধু তাই নয়, এ ধরনের উদ্যোক্তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই পুন:অর্থায়ন তহবিলেরও আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, জানতে পেরেছি মিডল্যান্ড ব্যাংক ১ম পর্যায়ে পল্লী কর্ম উন্নয়ন সংস্থাকে ১ কোটি টাকা ঋণ দিবে। পরবর্তীতে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। পল্লী কর্ম উন্নয়ন সংস্থা এই ১ কোটি টাকা ১শ’ ৩৬ জন সুবিধাবঞ্চিত উদ্যোক্তার মাঝে বিতরণ করবে। যার মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ১০ জন উদ্যোক্তাকে ৫ লক্ষ টাকা, ১শ’৫ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ৮৪ দশমিক ৫০ লক্ষ টাকা, সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত ৬ জন নারীকে ৩ লক্ষ টাকা এবং রাখাইন নৃগোষ্ঠীর ১০ জন খুদে উদ্যোক্তাকে ৭ দশমিক ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ বিতরণ করবে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক মিডল্যান্ড ব্যাংককে ৫ শতাংশ হারে পুন:অর্থায়ন করবে। মিডল্যান্ড ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ ঋণের ওপর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন অর্থাৎ ৭ শতাংশ হারে সুদ আদায় করতে পারবে। পল্লী কর্ম উন্নয়ন সংস্থা তাদের টার্গেট গ্রুপের সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের মাঝে ১০ শতাংশ হারে ঋণ বিতরণ করবে। এ ঋণের বিপরীতে কোনো সহায়ক জামানত লাগবে না।
(0)