

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর দুই ব্যক্তি পূর্ব-পরিচিতের ভান করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাব্বীর কেবিনে যায়। এরপর সরাসরি তার কাছে গিয়ে বসে। শারীরিক অবস্থা জানতে না চেয়ে প্রথমেই জিজ্ঞেস করে- ‘ঘটনার সময় ক্ষুদে বার্তায় ‘কাদের কেস’ (ইতিপূর্বে পুলিশি নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদের) বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাব্বীকে এসব কথা বলার সময় একই কক্ষে কিছু দূরে তার ৬ বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। বন্ধুরা রাব্বীর কাছে ওই দু’জনকে চিনেন কিনা জানতে চাইলে ‘না’ বলে জানান তাদের। এরপর রাব্বীর বন্ধুরা প্রথম থেকে সন্দেহভাজন ওই দু’ব্যক্তির কাছে তাদের পরিচয় জানতে চান।
ওই সময় উপস্থিত রাব্বীর বন্ধু জাহিদ হাসান বলেন, তখন রাব্বীর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব মিলে আমরা ৬ জন কেবিনে ছিলাম। ওই দু’জনকে ঢুকতে দেখেই সবার সন্দেহ হয়। তবু রাব্বীর পরিচিত মনে করে তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালের কেবিনে গিয়ে দেখা যায়, কেবিনের শয্যায় অনেকটা মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় শুয়ে আছেন গোলাম রাব্বী। কিছুক্ষণ পর পর গায়ে খিঁচুনি দিয়ে চমকে উঠছেন।
একইদিন বিকালে তাকে হাসপাতালে দেখতে যান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাসেম। তিনি বলেন, গভর্নর আতিউর রহমান আমাকে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তার পাশে থাকবে। চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ই জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুরের খালার বাসা থেকে কল্যাণপুরে নিজের বাসায় যাওয়ার সময় ওই থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ সিকদার তাকে নির্যাতন করে ও ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। ইতিপূর্বে মাসুদ শিকদারকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
(3)