স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বখাটে রাহুল হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকার এতিমখানা সড়কে মামা মোবারক হোসেনের বাসায় থেকে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে (জুনিয়র স্কুল) নবম শ্রেণীতে পড়ছে।
একই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীটির পিতা। হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী ওই বাসা থেকেই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে।
বখাটে রাহুলের স্কুল এবং ছাত্রীটির স্কুল হবিগঞ্জ ব্যাক রোডে কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত। স্কুল ও বাসা একই এলাকার থাকায় আগের পরিচয়ের সুবাদে ছাত্রীটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় রাহুল। যা মেয়েটি প্রত্যাখ্যান করে।
এরপরও বখাটে রাহুল বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীটির এক নিকটাত্মীয় কিছুদিন আগে রাহুলকে চর থাপ্পর মারেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ আগস্ট বিদ্যালয় ছুটির পর বাসায় যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে চর-থাপ্পর মারে বখাটে রাহুল। এ সময় রাহুল মেয়েটির যে স্বজন তাকে পিটিয়েছেন তার হাত-পা কেটে ছাত্রীটির কাছে পাঠানোর হুমকি দেয়।
এদিকে, এ ঘটনার ভিডিও চিত্র ১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। বখাটে রাহুলকে আটকের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেন জেলাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণ।
খবরটি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রাহুলকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
এদিকে, শুক্রবার সকালে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অবশেষে বেলা ১টায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রাম থেকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও রাহুলের আত্মীয়দের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
থানায় আটক বখাটে রাহুল ছাত্রীকে লাঞ্ছণার বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান- ছাত্রীটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে সে অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ছাত্রীটি তার বর্তমান প্রেমিকসহ কয়েক যুবক দিয়ে তাকে প্রকাশে ছাত্রীদের সামনে পিটিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে ওই ছাত্রীটি চর-থাপ্পর মেরেছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বখাটে রাহুলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীটি জানান- ভিডিও চিত্রটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে লজ্জা ও আশংকায় তার স্কুলে যাওয়ার পথ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।-ফটোবাজার
(2)