তারপরও ঠেকানো যায়নি নাশকতা। র্যাবের দাবি, এতো লোক সমাগমে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করা ছিল খুবই কঠিন। আর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, দালানের ভেতর কবরস্থানের কাছ থেকে দুজন বিভিন্ন বোমা ছুঁড়েছিল। এদিকে, বোমা হামলার ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
আশুরায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিতে নাশকতা হতে পারে এমন তথ্য আগে থেকেই ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। সতর্কও করা হয়েছিল আয়োজকদের। শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের অনুরোধ করা হয়েছিল, মিছিল নিয়ে যাতে তারা হোসাইনী দালানের ভেতর থেকে বের না হন।
হোসাইনি দালানের তত্ত্বাবধায়ক এম এম ফিরোজও স্বীকার করেছেন, পুলিশ তাদের সতর্ক করেছিল। আর এই হামলার জন্য উগ্রবাদি কোন গোষ্ঠীকে দায়ী করেন তিনি। রোববার সকালে র্যাব ও ডিবি পুলিশের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
র্যাবের কাছে প্রশ্ন ছিল, আগে থেকে নাশকতার আশঙ্কা থাকলেও, কেন এই ঘটনা ঠেকানো গেল না? আর ডিবি পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা, কবরস্থানের কাছ থেকে ৫টি হাতবোমা ছোড়া হয়েছে। এদিকে বোমা হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
(1)