মজার ব্যাপার হলো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ এরও আগে পেয়েছিলেন এই পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটার! ওই সফরেই ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেকের সময় সাজিদার বয়স ছিল ১২ বছর ১৭১ দিন। নারী-পুরুষ ক্রিকেট মিলিয়েই সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড এটি।
অবশ্য কম বয়সে খেলোয়াড়দের অভিষেক করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান বোধ হয় চমকে দিতেই ভালোবাসে ক্রিকেট বিশ্বকে। ‘কম বয়সে’র রেকর্ডগুলো প্রায় সবই পাকিস্তানের দখলে। ১৯৯৬ সালে ফয়সালাবাদ টেস্টে নামার সময় হাসান রাজার বয়স ছিল ১৪ বছর ২২৭ দিন। জিম্বাবুয়ের ওই সফরেই ১৪ বছর ২৩৩ দিন বয়সে ওয়ানডে অভিষেকও হয়েছিল রাজার। সবচেয়ে কম বয়সে টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ডটাও ছিল একজন পাকিস্তানির। কিন্তু আমিরের কাছ থেকে সেই রেকর্ড গত বছর নিজের করে নিয়েছেন হংকংয়ের ওয়াকাস খানের (১৫ বছর ২৫৯ দিন)।
সবচেয়ে গর্বের একটি রেকর্ড পাকিস্তানের কাছ থেকে চলে এসেছে বাংলাদেশের কাছে। মুশতাক মোহাম্মদের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭ বছর ৭৮ দিন বয়সে)। সেটি তাঁর অভিষেক ম্যাচও ছিল। ফলে একই সঙ্গে দুটো বিশ্ব রেকর্ড হয় আশরাফুলের। সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ডও।
সবচেয়ে কম বয়সে ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডটি অবশ্য এখনো আছে শহীদ আফ্রিদির দখলে। ১৯৯৬ সালে নাইরোবিতে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করার দিন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর ২১৭ দিন। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা কোরি অ্যান্ডাসনের হাত ঘুরে এখন এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। তবে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এখনো অক্ষুণ্ন আছে তাঁর জন্য।
বয়স নিয়ে রেকর্ড বইয়ের পাতা নেড়ে-চেড়ে দেখা লুসি ও’রেইলির সৌজন্যে। কদিন আগে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ফাইনাল হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। ওই ম্যাচে শেষ বলে রান নিয়ে আইরিশদের জেতান ও’রেইলি। ১৬ বছর বয়সী এই মিডিয়াম পেসারের দখলেই এক সময় ছিল সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার বিশ্ব রেকর্ড। ১৩ বছর ২৪১ দিন বয়সে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল তাঁর ২০১৩ সালের জুলাইয়ে। সেটাই পরে ভেঙে দেন সাজিদা।
টিনএজ বয়সে শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, তার বাস্তবায়নও তো শুরু করে দেওয়া যায়!
সূত্র: ক্রিকইনফো
(1)