অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়ে গ্রাহকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ১৭টি বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তে নামবে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক।
এ বিষয়ে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন -বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, অর্ধশত বছর আগের ব্যয় নীতিমালা দিয়ে বর্তমানে বীমা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা অসম্ভব। তবে দুদকের এই তদন্তের ব্যাপারে কিছুই জানেনা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিয়ম ও সমালোচনার সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অনিয়মের অভিযোগ। বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক। সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইডরা’র কাছে কোম্পানিগুলোর পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে দুদক জানায়, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে অবৈধভাবে ১৭টি কোম্পানি ব্যয় করেছে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যার শতকরা ৯০ ভাগ অর্থই গ্রাহকের।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশন বিআইএ বলছে, বর্তমানে আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেড়েছে তাই দুদকের অভিযোগ অযৌক্তিক। একই সঙ্গে ১৯৫৮ সালের ব্যয় নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগী করারও দাবি তাদের।
বিআইএ সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘ইডরা ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। ১৯৫৮ সালের যে ব্যয় সেটা আজ এতো বছর পর যে সেটাই চলতে পারে এটা ঠিক নয়। যেখানে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, খরচ বেড়ে গেছে এবং সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীর বেতনও বেড়ে গেছে। সেখানে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আমাদের ব্যয় বেড়ে গেছে। এটাও ইডরা দেখছে কিভাবে ব্যবস্থাপনা ব্যয়কে সহনশীল পর্যায়ে আনা যায়।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যাপারে জানতে ইডরা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই।
দেশে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ইডরা’র তালিকাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি জীবন বীমা রয়েছে ৩৩টি।
(2)