মাত্র ২শতক জমি জোর দখল নিতে না পেরে তালা উপজেলার ভায়ড়া গ্রামে শহীদুল ইসলাম নামের এক হতদরিদ্র ব্যক্তিকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। বিজ্ঞ আদালতকে উপেক্ষা করে দূর্বৃত্ত প্রতিপক্ষরা শহিদুলের জমি দখল করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। জমি দখলে ব্যার্থ হয়ে দূর্বৃত্তদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শহীদুল ইসলাম।
উপজেলার ভায়ড়া গ্রামের আনছার আলী বিশ্বাসের হত দরিদ্র পুত্র শহীদুল বিশ্বাস জানান, ভায়ড়া মৌজার, ১২১২ খতিয়ানের ৪৮৪ ডিপির ৮৯০ ও ৮৯১ দাগের .৫১ শতক জমি তাঁর নানা দূর্গা বাজনদার সাড়ে ২৫ শতক জমির মালিক। তাঁর মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে তার মা নাজু বিবি ও খালা বেমালা বিবি উক্ত সম্পত্তির মালিক হন। পরবর্তিতে খালা তার নিজ প্রাপ্য সমুদয় সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। অপরদিকে মা নাজু বিবি তার প্রাপ্য অংশ থেকে সাড়ে ৮শতক জমি অন্যত্র বিক্রয় করে দেন। নিজ মায়ের বাকি ৪ শতক জমির মধ্যে ওয়ারেশ হিসেবে শহীদুল বিশ্বাস এবং বোনেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হয়। সে মতে সেটেলমেন্ট অফিস থেকে শহীদুল ইসলাম তার নিজ নামে ২ শকত জমি রেকর্ড পান। উক্ত জমি শহীদুল ভোগদখলে রয়েছে। কিন্তু শহীদুলের ভোগ দখলে থাকা ২ শতক জমি জোর দখল নেবার জন্য এলাকার মৃত আবর বিশ্বাসের দূর্বৃত্ত পুত্র ছিদ্দিক বিশ্বাস, বাবর আলী বিশ্বাসের পুত্র সাজ্জাত বিশ্বাস ও মজিবর বিশ্বাসের পুত্র ইমরান বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জোর করে দখল নিতে ব্যার্থ হয়ে দূর্বৃত্তরা প্রতিনিয়ত শহীদুল বিশ্বাসকে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়া ইতোপূর্বে দূর্বৃত্ত ছিদ্দিক বিশ্বাস গং শহীদুলকে তার জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে শহীদুলকে মারপিট করে এবং তার বসত ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবার প্রাক্কালে তালা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে তা’ ব্যার্থ হয়। কিন্তু দূর্বৃত্ত ছিদ্দিক গং পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে এখনও দরিদ্র শহীদুলের জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আর তা না পেরে দূর্বৃত্ত ছিদ্দিক গং শহীদুলকে হয়রানী করার জন্য বর্তমানে নানান অপপ্রচার সহ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় শহীদুল বিজ্ঞ আদালতে ১৪৫ ধারা মতে একটি মামলা (১৩১৩/১৫) দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় ছিদ্দিক গং শহীদুলের জমি জোর দখল নিতে প্রতিনিয়ত মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে চরম ঝুকির মধ্যে থাকা শহীদুল উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা কেেরছ।
-বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা, সাতক্ষীরা
(4)