Breaking News

পাইকগাছায় নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয়নি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ; মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ প্রকাশ

15.01.16পাইকগাছায় শেষ হয়েও শেষ হচ্ছেনা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্দিষ্ট সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

আগামী দু’মাসের মধ্যে কমপ্লেক্সটি হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর আশ্বস্ত করলেও ২৬ মার্চ কমপ্লেক্সটি ব্যবহার করতে চায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৫ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গড়ে ওঠেনি স্থায়ী কোন ঠিকানা। পৌর সদরের শিবসার ধারে যেন তেন একটি ভবনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দ তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসাবে পৌর সদরের বনানী সংঘের পাশে চলছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়ন করছে ইউসুফ আলী খানের মেসার্স ওয়াই খান প্রতিষ্ঠান। কমপ্লেক্সের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে, ২ কোটি ৩৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কাজী আব্দুল আওয়াল জানান, ৭/১১/১৩ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কাজ থাকলেও মূল কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারী। ইতোমধ্যে কমপ্লেক্সের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতি সহ ৩ তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স ভবনের মূল কাজ প্রায় শেষ।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনের মুখে একটি কালবার্ট ও সীমানা প্রাচীর সহ বেশ কিছু কাজ করতে হবে। এজন্য নির্ধারিত সময়ে কমপ্লেক্সটি হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। একাজের জন্য অধিদপ্তরের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি অনুমোদিত হলে আগামী দু’মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে কমপ্লেক্সটি হস্তান্তর করা সম্ভব হতে পারে বলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ স ম বাবর আলী জানান, আশা করেছিলাম বিজয় দিবসে কমপ্লেক্সটি ব্যবহার করার উপযোগী হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। নির্মাণ কাজে গতি আসলে আগামী মার্চ মাসে স্বাধীনতা দিবসে কমপ্লেক্সটি উদ্ভোধন করার ইচ্ছে রয়েছে। তবে এজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।

-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *